উপমহাদেশের উইকেট প্রথাগত ভাবেই কিছুটা মন্থর হয়ে থাকে, সেটা কতটা কঠিন সেটাই টের পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। নিয়মিত পারফর্মার নিয়ে গড়া দল নিয়ে এসেও ৪-১ ব্যবধানে ধরাশায়ী হয়েছে অজিরা, নুন্যতম লড়াইও করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা।
বাংলাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার অসহায় আত্মসমর্পণের বিষয়টি অজানা নয় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের, অক্টোবরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের কোন ক্রিকেটারই থাকছে না বাংলাদেশ সফরে। তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে আসায় চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই মোকাবিলা করতে হবে টম ল্যাথাম, ফিন অ্যালেন, রাচিন রাবীন্দ্রদের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার নিয়েই বাংলাদেশ সফরের স্কোয়াড গড়েছে নিউজিল্যান্ড, তবে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন ও বাংলাদেশের কন্ডিশন যে এক নয় সেটা অজানা নয় কারোরই। যে কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবে ভিন্ন কন্ডিশন বিবেচনায় রেখেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল, জানিয়েছেন ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে যুব বিশ্বকাপ খেলা রাচিন রাবীন্দ্র।
বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে রাচিন রাবীন্দ্র বলেন, “সে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা ছিলো। আমরা আগে আরব আমিরাতেও খেলেছি কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভিন্ন ছিলো। সেখানের উইকেটে বল টার্ন করে, মন্থর উইকেট হয় এবং সত্যি বলতে আমরা নিজেদের খুব একটা মেলে ধরতে পারি না।”
সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এসব (২০১৬ তে বাংলাদেশ সফর) আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল এবং এই অভিজ্ঞতা আমাকে এবার সহায়তা করবে, এমনকি আবহাওয়া কেমন হবে ও কেমন খাবার খেতে পারব এসবও।”
নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ভরাডুবির কথাই মাথায় রাখছেন রাচিন রাবীন্দ্র, “অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দেখে বুঝেছি সেখানে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে বিপরীত চিত্র দেখা যাবে। হয়তো ১৩০-১৪০ রান হবে গড় স্কোর। অর্থাৎ সেখানে ভালো করতে হলে আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা করতে হবে, তবে ওই ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া ও কিছু শিখতে পারা রোমাঞ্চকর হবে।”
১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, বাকি ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হবে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর; সবগুলো ম্যাচ হবে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।