আইপিএলের কভিড কেইস উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিল্লিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলাকালীন এখানে খেলা আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন মানুষ এবং মহলের মতবিরোধ করে আসছিল। কিন্তু এই অবস্থাতেই দিল্লিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। কোলকাতা এবং চেন্নাই এর বেশ কিছু খেলোয়াড় এবং অফিশিয়াল আক্রান্ত হবার পরে আইপিএল কর্তৃপক্ষ চিন্তা করছে দিল্লি থেকে এ সপ্তাহের শেষের দিকেই মুম্বাইতে আবার আইপিএলের খেলা গুলি স্থানান্তর করার।
এখনো বেশ কিছু দলের মধ্যে খেলা বাকি আছে একে অপরের সাথে দুই বার করে খেলবে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ফাইনালটি যেখানে ৩০মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তা পিছিয়ে জুনের প্রথম সপ্তাহে চলে যেতে পারে।
আইপিএল কর্তৃপক্ষের জন্য এখন অত্যন্ত বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আইপিএলের আটটি দলের জন্য মুম্বাইয়ে হোটেলের ব্যবস্থা করা এর আগে আটটি দল মুম্বাইয়ে কয়টি হোটেল ছিল এবং তিনটি মাঠে (ওয়ানখেদে, ডিওয়াই পাতিল এবং ব্র্যাবর্ন) খেলা ও অনুশীলনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
আইপিএল কর্তৃপক্ষ মুম্বাইয়ের বেশ কয়টি হোটেলের সাথে যোগাযোগ করেছে যাতে তারা ভালোভাবে বায়োবাবল তৈরি করতে পারে কিনা এ বিষয়ে কথা বলার জন্য। কোন আইপিএলের কোন নির্ভরযোগ্য কর্তৃপক্ষ কিংবা কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ভালো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
মার্চে যখন আইপিএলের সূচি প্রকাশ করা হয় তখন মুম্বাইকে প্রধান ভেন্যু ধরে মোট ছয়টি মাঠে- আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতা এবং মুম্বই এ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে চেন্নাই ও মুম্বাইতে আইপিএলের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে আমেদাবাদ এবং দিল্লিতে দ্বিতীয় লেগের খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে বায়ো বাবল ভেদ করে করোনা ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের মাঝে। ভারত বর্তমানে করণা মহামারীর দ্বিতীয় ওয়েভের মোকাবেলা করছে। যা বিপর্যস্ত করে তুলেছে ভারতের জনজীবন ও বেশ কয়েকটি শহর।
যদি ৩০ শে মে এর মধ্যে মধ্যে আইপিএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত করা সম্ভব না হয় তাহলে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এটি বাধাগ্রস্ত করবে। ১৬-২০ জুন ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে করণা পরিস্থিতি অবনতি হবার কারনে ইংল্যান্ড সরকার ভারতের সাথে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করেছে। সুতরাং এটা নিশ্চিতভাবে ধরা যায় যে যদি এই আইপিএল এর ফাইনাল পিছিয়ে যায়। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সূচিতে অবশ্যই বাধাগ্রস্ত করবে।