ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পন্সর থেকে ভিভো এবং বিসিসিআই তাদের চুক্তি ২০২০ সালের জন্য স্থগিত করেছে। গত সপ্তাহে বিসিসিআইয়ের সাথে নিয়ে আলোচনা করা চীনা মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। ভারত ও চীনের কূটনৈতিক ও সীমান্ত উত্তেজনার করাণে এমন প্রতিক্রিয়া হয়েছে এটা সহজেই অনুমেয়।
ভিভোর শেষ মুহূর্তে এমন নাম প্রত্যাহার করা করনা মহামারীটির মধ্যে আইপিএল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। ভিভো ২০১৭ সালে আইপিএল শিরোনামের স্পনসরশিপ চুক্তিটি পেয়েছিল (২০১৮-২০২২) পাঁচ বছরের জন্য। ২১৯৯ কোটি রুপির বিড করে তারা (২০১৮-২০২২) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত টাইটেল স্পন্সরের চুক্তিতে গত (২০১২-২০১৭) মৌসুমের টাইটেল স্পন্সর থেকে স্পন্সর স্বত্ত ৪৫৪% বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর অর্থ দাঁড়ায় যে বিসিসিআই আইপিএলের প্রতি মৌসুমেই প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা অর্জন করবে। কিন্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন এই টাইটেল স্পনসরের বিকল্প খুঁজতে হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক ঝুঁকিতে রয়েছে , উদাহরণ স্বরূপ দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ার সম্ভাবনায় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলা চলে যাওয়ার কারনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু প্রায় ৩৫ কোটি রুপি রাজস্ব হারাতে পারে।
বিসিসিআই এবং আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের মধ্যে সংশোধিত ২০১৮ সালের রাজস্ব ভাগাভাগির চুক্তি অনুসারে, বোর্ডগুলি সম্প্রচার, শিরোনাম এবং অন্যান্য স্পনসরশিপ চুক্তি সহ কেন্দ্রীয় আয় থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি আয়ের ৫০% পাওয়ার কথা। সুতরাং টাইটেল স্পন্সর চুক্তি থেকে প্রায় ২২০ কোটি রুপি আটটি দলকে বিভক্ত করার কথা – এতে ফ্র্যাঞ্চাইজির আয় প্রতি মৌসুমে গড় ২৫ কোটি রুপির সমান । দলগুলিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঘাটি স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। ফ্রাঞ্চাইজিরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে যে বিসিসিআই কোনও নতুন চুক্তির মাধ্যমে এই ক্ষতি পূরণ করতে পারে কিনা।