saying that “age is just a number”
কথাটা যেনো ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ৪১ বছর বয়সী গেইল এর সাথে একদম মানিয়ে যায়। তিনি ইউনিবার্স বস ৪১ বছর বয়সেও দাপটের সাথে ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছেন বিশ্বব্যাপী আয়োজিত কুড়ি ওভারের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলোতে।
দীর্ঘদিন পর দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন ক্যারিবিয় জাতীয় দলে কিন্তু ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ব্যাটিং এ নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেমন যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অবশেষে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছন্দ ফিরলেন তিনি হাসল তার ব্যাট খেললেন আগের রূপে। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে ম্যাচ সেরার ইনিংস খেলার দিনেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন এক মাইলফলক স্থাপন করলেন ক্রিস গেইল।
বিশ্বের সর্বপ্রথম ক্রিকেটার হিসাবে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টি তে ১৪ হাজার রান করার এক অনবদ্য রেকর্ড গড়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। এই কীর্তি গড়তে হাজারেরও বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন হাঁকিয়েছেন ” সিক্স মেশিন ” খ্যাত ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার।
সবচেয়ে আশ্চর্যকর বিষয় হলো এই রেকর্ডের এবং এই মাইলফলকের ধারের কাছেও নেই কোন ক্রিকেটার।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি তে ৩৮ বল মোকাবেলায় ম্যাচ সেরা ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ক্রিস গেইল। ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটারের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করেই ১৪২ রানের টার্গেটে ৩১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারাকা ক্রিকেটার নিজেকে ইউনিভার্স বস হিসেবেই পরিচয় দিতে পছন্দ করেন,অবশ্য এই ফরম্যাটে তার যেই অর্জন ও অনন্য কীর্তি তা বেশ মানানসই তার ইউনিভার্স বস নামের পাশে। তাই গেইল নিজেই অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে তাকে সম্মান করতে বললেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেললেও গেইলের চোখটা আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই,সেই সাথেও এটা জানিয়ে দিয়েছেন যতদিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে গেইল বললেন –
“আমার মূল ফোকাস হচ্ছে বিশ্বকাপে, ক্রিস গেইল রান পাচ্ছে না সেটা মনে রেখো না। খুব তাড়াতাড়ি ৪২ হয়ে যাবে এখনও গেইলকে মাঠে দেখতে পারো তোমাদের খুশি হওয়া উচিত। আশা করি ক্রিস গেইল যতদিন সম্ভব মাঠে থাকবে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচে ৪ ও ১৩ রান এসেছিলো গেইলের ব্যাট থেকে, তবে গেইলদের রান পেতে ফর্ম যে খুব একটা বিবেচনায় আসে না সেটা অজানা নয় কারোই।
যে কারণে রান না পেলেও গেইলকে নিয়ে সমালোচনা দেখা যায় না, এটাকে ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন বিধ্বংসী গেইল।
ক্রিস গেইল বলেন “সেসব মূহুর্ত গুলো আমি ভালোবাসি যে ক্রিস গেইলের অর্ধশতক না করা নিয়ে ধারাভাষ্যকাররা কোনো পরিসংখ্যান দিচ্ছে না। ইউনিভার্স বসকে শুধু সম্মান করো তাকে খেলতে দাও এবং মজা করো। গেইল শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এবং দারুণ কিছু তরুণদের সমন্বয়ে গড়া দলের সাথে সময়টা উপভোগ করো। ”
সবশেষে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রিস গেইল। এর ঠিক ১৯ ম্যাচ পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জার্সিতে প্রথম পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের দেখা পেলেন ইউনিভার্স বস। যেখানে এই ইনিংসের আগের পাঁচ ইনিংস মাত্র ৫২ রান এসেছিলো তার উইলো থেকে।
মঙ্গলবার (আজ) আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তে দশম বারের মতো “প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ ” পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস গেইল।
ছোট্ট একটা পরিসংখ্যানে নজর দিলে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক টি২০-তে ক্রিস গেইলের চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরা পুরস্কার জেতার রেকর্ড কেবল ৩টি ক্রিকেটারের –
মোহাম্মদ নবী – ১৩বার।
বিরাট কোহলি -১২ বার।
শহীদ আফ্রিদি -১১ বার।
তার উইলো বোলারদের ওপরে আরো দারুন ভাবে ছড়িয়ে ঘোরাতে থাকুক। ইউনিভার্স বসে ক্রিকেটের অন্যতম সৌন্দর্য, আমরা চাই যতদিন সম্ভব তিনি খেলে যান।