২০০৭ বিশ্বকাপে খুব সম্ভবত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক বাঁহাতি টাইগার পেসারের বলে ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল আশ্রয় নেয় বাংলাদেশ উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিমের দুই প্যাডের ফাঁকে! সম্পূর্ণ অভাবনীয় ঘটনা হওয়ায় ঘটনাটি মনে দাগ কেটে যায়! বাঁহাত মুঠো করে করা উদযাপন তার প্রতি অন্যরকমের এক ভাললাগার সৃষ্টি করে। সেই ভাললাগা থেকে একটু একটু করে তার খোঁজ নিতে শুরু করি, যদিও ভাগ্যের ফেরে বেশিদিন তার জাদু দেখার সৌভাগ্য হয় নি! সেই সময় থেকে আরেকটু পিছনে ফিরে যাওয়া যাক।
ক্যালেন্ডারের পাতায় সাল তখন ২০০৫!
অস্ট্রেলিয়ায় বিসিবি’র এক প্রশিক্ষণ সফরে সাবেক অজি গ্রেট ওপেনিং ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে নেটে পরপর চারবার আউট করেন বাংলাদেশের সেই বাঁহাতি
টাইগার পেসার! তখনও বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয় নি এই মিডিয়াম পেসারের।
ল্যাঙ্গার তখনই প্রশংসা করেছিলেন এই উদীয়মান ক্রিকেটারের। বলে তেমন গতি না থাকলেও অসাধারণ দক্ষতায় সাজাতে পারতেন সুইংয়ের পসরা। ১০৫
টেস্টের অজি তারকা ল্যাঙ্গার
সেই পেসারে খুঁজে পান চামিন্দা ভাসের
ছায়া। আর সেই থেকেই কোনো
বাংলাদেশি ক্রিকেটার বলতে
সৈয়দ রাসেলের ভক্ত হয়ে যান তিনি। হ্যাঁ, সৈয়দ রাসেল!
বোলিং অ্যাকশন আর সুইংয়ের উপর অসাধারণ দক্ষতা থাকায় সৈয়দ রাসেলকে বলা হতো ‘বাংলার চামিন্দা ভাস’। সেই ভাসের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের দিন ২৮ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট!
সৈয়দ রাসেল
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট শিকারি তিনি।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম বলার হিসেবে মেডেন নেয়ার কৃতিত্ব তার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৬টি ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৭৭টি উইকেট!
শুভ জন্মদিন সৈয়দ রাসেল ভাই! ১৯৮৪ সালের আজকের দিনে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মদিনে অসংখ্য শুভেচ্ছা রাসেল ভাই। বর্তমানে তিনি যুক্ত আছেন রাজনীতির মাঠে। সর্বশেষ বিপিএলে ছিলেন ঢাকা প্লাটুনের বোলিং কোচ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার লম্বা না হলেও তার কোচিং ক্যারিয়ার এবং রাজনৈতিক ক্যারিয়ার যেন সমৃদ্ধ হোক সেই কামনাই করি।
লিখেছেনঃ আসিফ আফনান পিয়াল