বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন! কেনইবা ভাববেননা? কেননা এর আগে কোনো প্রজন্ম দুই এন্ড থেকে একসঙ্গে বোলিং করতে দেখেনি এমন দুই বোলারকে, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে যাদের দুজনেরই উইকেট সংখ্যা পাঁচশ’র বেশী। একজন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং অন্যজন জেমস এন্ডারসন। উইন্ডিজের বিপক্ষে গেল সিরিজে পাঁচশত উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ব্রড, অন্যদিকে এন্ডারসন অপেক্ষায় ৬০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে প্রবেশের। তবে গুঞ্জন উঠেছিল এন্ডারসনের অবসরের! যেভাবে এতদিন ব্যাটসম্যানের স্ট্যাম্প উড়িয়েছেন, তেমনি উড়িয়ে দিলেন সকল সমালোচকদের মিডেল স্ট্যাম্প, একদম ক্লিন বোল্ড!
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে তিন উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড! তবে বল হাতে এন্ডারসন ছিলেন বিবর্ণ, ছন্দে ছিলেন না পুরো ম্যাচেই! দুই ইনিংসে ২৮ ওভার বল করে ৯৭ রানের বিপরীতে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১টি। এতেই ৩৮ বছর বয়সী এই পেসারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে,অবসর নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। যদিও এন্ডারসন জানিয়েছেন, তিনি খেলে যেতে চান যতদিন সম্ভব। এর মানে তাকে ক্রিকেটে দেখা যেতে পারে কমপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী অ্যাশেজ পর্যন্ত। এ ব্যাপারে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘যতদিন সম্ভব ততদিন আমি খেলতে চাই। এ সপ্তাহে যেভাবে আমি বোলিং করেছি, তাতে আমার কাছ থেকে অবসরের সুযোগটি কেড়ে নেওয়া হবে। এটি হবে নির্বাচনের বিষয়। আমি এখনও খেলার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছি। আমার মনে হয়, একটি খারাপ ম্যাচের পর এ সপ্তাহটি আমার জন্য হতাশারই ছিল। তাই অবসর নিয়ে যে ধরনের ফিসফিস তৈরি হয়েছে, আমার মনে হয় না এটি সঠিক হচ্ছে।’
প্রথম টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘প্রত্যেকেরই খারাপ ম্যাচ বা সময় আসে, আমার ক্ষেত্রেও এখন এমন হচ্ছে। আমি ভালো বল করতে পারিনি এবং অনুভব করেছি আমি ছন্দের বাইরে ছিলাম। বিগত দশ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমি মাঠে কিছুটা আবেগি ছিলাম, কিছুটা হতাশাগ্রস্থও ছিলাম, এটি আমার কাছে খারাপই লেগেছে।’
ইংল্যান্ডের হয়ে গত ১৭ বছরে ১৫৪ টেস্ট খেলেছেন এন্ডারসন। পাকিস্তানের বিপক্ষে গেল ম্যাচের আগে শেষবার ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে দুই উইকেটের কম নিয়ে কোনো টেস্ট শেষ করেছেন এই ইংলিশ পেসার। চার বছর আগের প্রতিপক্ষও ছিল পাকিস্তান।