জিম্বাবুয়ের মাটিতে ইতিহাস ভয় দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার ফলাফল সবসময় ভালো বাংলাদেশের তবে সেটা ঘরের মাটিতে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পারফরমেন্স খুবই নড়বড়ে জিম্বাবুয়ের মাটিতেও এর ব্যাতিক্রম নয়। জিম্বাবুয়ের মাটিতে চারটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ যার একটিতেও জিততে পারেনি এখনো। এবারের সিরিজে একটি মাত্র টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল ২০১৩ সালে। দুই ম্যাচের এই সিরিজে এর প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ হেরেছিলো ৩৩৫ রানে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ৩৮৯ রান। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৩৪ রানে। ২২৭ রান করে ২য় ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। ৪৮৩ রানের লক্ষ্য নেমে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের। পরের ম্যাচে ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশ ।
পরিসংখ্যান এবং অতীত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় জিম্বাবুয়ের মাটিতে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান আশরাফুল। সাকিব, মুশফিক মোটামুটি ভালেই টক্কর দিয়েছেন আশরাফুল কে কিন্তু তামিম সহ বাকিদের রানের গড় খুবই কম। জিম্বাবুয়ের মাটিতে এখন পর্যন্ত সেন্ঞ্চুরি নেই কোনো টাইগারের। সবথেকে বেশি তিনটি ফিফটি করেছেন সাকিব আল হাসান।
বোলিংয়ে সবার উপরে আছেন রবিউল। সর্বচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী জিম্বাবুয়ের মাটিতে এখন পর্যন্ত তিনি। তিনি ৩ ম্যাচে ১৮ টি উইকেট নিয়েছেন এবং ২য় স্থানে রয়েছে সাকিব তিনি ৬ ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছেন। পুরো পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে জিম্বাবুয়ের মাটিতে কতটা নাজুক ফলাফল টাইগারদের। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হারানো সহজ কিন্তু জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়ে কে হারানো সহজ নয়। যেহেতু এই সিরিজে মাত্র একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচ তাই এটিক গুরুত্ব দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
জিম্বাবুয়ের কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার মত বল ঘুরার চেয়ে বেশি সুইং করবে। যে কারণে পেসার দের ভালো সুযোগ থাকে ওই খানে ভালো করার।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করলে সহজ হয় জিম্বাবুয়ে তে তাই সবকিছু মাথায় নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কারণ একটি মাত্র টেস্ট হবে যদি হেরে যায় সমালোচনার পিছু ছাড়বে না। শক্তি বিবেচনায় জিম্বাবুয়ের থেকে কাগজে কলমে অনেকটা এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে মূল লড়াই টা হবে মাঠে ভিন্ন কন্ডিশনে।