আইসিসির প্রাক্তন আম্পায়ার ড্যারিল হরপার বলেছেন যে তাঁর বিতর্কিত ‘সোল্ডার বিফোর উইকেট’ এর সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি “অত্যন্ত গর্বিত” এ সিদ্ধান্তের কারণে ১৯৯৯ সালে শচীন টেন্ডুলকার অ্যাডিলেড ওভালে শূন্য রানে ফিরে গিয়েছিলেন এবং এই সিদ্ধান্তের কারনে দারুন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তিনি তখন গ্রহন করেছিলেন। টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের সময় গ্লেন ম্যাকগ্রা ডেলিভারিতে শচীন টেন্ডুলকারকে হরপার এলবিডব্লিউ আউট দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে ঐ টেষ্টে ইন্ডিয়া হেরে যায়।
হরপার এশীয়া নেট নিউজকে বলেন, “আমি আমার জীবনের প্রতিদিন এই ‘টেন্ডুরকারের’ এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের কথা মনে করি । “এমন নয় যে আমি খারাপ ঘুমাই বা দুঃস্বপ্ন দেখি এবং বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আমার মনে বার বার পিড়া দেয়। আমি যখন আমার গ্যারেজ দিয়ে হেঁটে যাই, তখন শচীন এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার একটি বিশাল ক্যানভাসের প্রিন্ট আমার গ্যারেজের ওয়ালে আমার সন্মূখিন হয়”
আপনি হয়ত শুনে হতাশ হতে পারেন যে আমি এখনও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত গর্বিত কারণ আমি আমার এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেই দিয়েছিলাম এবং নির্ভয়ে আইন প্রয়োগ করেছি।
২০১০ সালে ইন্ডিয়া দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় বেশ কয় একটি সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হবার পর পুনরায় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন হরপার। জ্যামাইকায় প্রথম টেষ্টের সময় বারবার পিচের উপর দৌড়নর কারনে হরপার প্রভিন কুমারকে বলিং আক্রমন থেকে সাসপেন্ড করেছিলেন। তখন অধিনায়ক এম এস ধনি অভিযোগ করেন “হরপার আপনার সাথে আমাদের আগেও সমস্যা হয়েছে।” ম্যাচ শেষে ধনি আম্পায়ারিং এর বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন।
হরপার সেই ম্যাচের পর আম্পায়ারিং থেকে অবসর গ্রহণ করেন তখনো তার চুক্তির মেয়াদ আরো দুই সপ্তাহ বাকি ছিল। এবং পরবর্তীতে ধনির মন্তব্যের জন্য তাকে শাস্তির আওতায় না আনার কারনে আইসিসির সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেন এই খেলার সময় তিনি ইন্ডিয়া দলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে ছিলেন।
ম্যাচ জয়ের পর ধনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন আম্পায়াররা যদি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত তাহলে খেলোয়াড়রা আরো আগে হোটেল কক্ষে প্রবেশ করতে পারত।” হরপার এই ঘটনার কথা স্বরন করে বলেন, “ইন্ডিয়ান ফিল্ডাররা যদি ক্যাচ গুলো ঠিক মত নিতে পারত তাহলে আরো আগে হোটেল কক্ষে প্রবেশ করতে পারত।” মাঝে মাঝে আমি ভাবি যদি আমিও ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে পারতাম নিয়মিত ভাবে তাহলে এই বিষয়গুলো পরিস্কার করতে পারতাম।
ওটা আমার জীবনের শেষ ম্যাচ হিসেবে রয়ে যায় যদিও আমার চুক্তি প্রায় শেষের দিকে ছিল, ডেমিনিকার তৃতীয় টেস্টের পরে আমার আর দুই সপ্তাহের মত সময় ছিল যা এম এস ধনি বা অন্য কারো মন্তব্য ছাড়া শেষ হতে পারত।
আমি স্বীকার করি ঐ ম্যাচে আমার দুইটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল এর বাইরে যে সব ইশ্যূ ছিল তা চলমান প্রযুক্তির দ্বারা নির্ধারণ করা যায়নি। আমার সিদ্ধান্ত নেবার জন্য কোন পরিস্কার পথ ও ছিল না এই ঘটনা আমাকে সবসময় বিব্রত করে, ইন্ডিয়ার সাথে টেষ্টে আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিসংখ্যান বর্তমানের যে কোন আম্পায়ারের সাথে তুলনায় আমার সিদ্ধান্ত গুলো ২য় অবস্থানে রাখা যাবে না।