৬১ রানের টার্গেট তো খু্বই ছোট ছিল বাংলাদেশের জন্য। বরাবরের মতই তবুও হতাশা দিয়ে শুরু বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটিং। ৬ বল খেলে ১ রানে আউট হয়ে যান নাইম শেখ আর লিটন খেলেন ৩ বল, তার সংগ্রহেও ১ রান। দুই ওপেনার থেকে রান এসেছে মোট ২।
তিন নম্বরে নেমে মুশফিকের সাথে ভাল একটা পার্টনারশিপ গড়েন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ সেরা সাকিব করেছেন ৩৩ বলে ২৫ রান। রাচীন রবীন্দ্রর বলে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন অপরাজিত। ২৬ বলে ১৬ করেছেন মুশফিক এবং ২২ বলে ১৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৬১ রান করতে বাংলাদেশে খেলেছে ১৫ ওভার। ৪.১৩ রানরেটে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচটি জিতলেও ব্যাটিং অবশ্যই সন্তোষজনক বলা যায় না। আজিজ প্যাটেল, কোল ম্যাককোনচি এবং রাচীন রবীন্দ্র নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের আগের রিপোর্ট: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যেখান থেকে বোলিংটা শেষ করেছিল বাংলাদেশ ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন বোলাররা। ৮ রানে নেই নিউজিল্যান্ডের তিন উইকেট। প্রথাগত মতই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তিন স্পিনারকে দিয়ে বোলিং করানো শুরু করলেন। লিখতে লিখতেই শেষ আরো একটা উইকেট, চার ওভার শেষে ৯ রানে চার উইকেট শেষ কিউইদের।
নাসুমের ২ উইকেটের সাথে মাহেদী এবং সাকিবের একটি করে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসলেন মুস্তাফিজুর রহমান, তার ওভারে অন অ্যাকশন বা মিডলিং করে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেল কিউইরা। পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ডের জোগাড় ওভারপ্রতি ৩ রানরেটে ১৮ রান। স্পিনারদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বেশি দুর্বল মনে হওয়াতেই হয়তবা আগেভাগেই বোলিংয় করতে আসলেন অধিনায়ক রিয়াদ।
কিন্তু পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে বেশ একটা পার্টনারশিপ দাড় করিয়ে ফেললেন কিউই ব্যাটাররা। ক্যাপ্টেনের দুই ওভার থেকে এলো আট রান। ফিরতি শটে ক্যাচটা নিতে পারলে ভিন্ন কিছু হতেস পারতো। তবে পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে ২২ রান নিয়ে ৪০ রানে পৌছায় নিউজিল্যান্ড। ততক্ষনে দুই অভিজ্ঞ টম ল্যাথাম আর হেনরি নিকোলসের জুটিতে যোগ হয়েছে ৩১ রান।
প্রথম দশ ওভারের আগেই অধিনায়ক মাহেদীকে করালেন কোটার সব ওভার। তখনও সাকিব-ফিজের তিন ওভার করে, সাইফুদ্দিনের আস্ত চার ওভার বাকি। ১১তম ওভারে সাইফুদ্দিন এস লাথামের উইকেট নিয়ে ভাঙলেন ৩৪ রানের জুটি। ১১তম ওভার শেষে ৪৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের দৌড় বড়জোড় ১০০ এর মত হতে পারে বলেই মনে হচ্ছিলো।
সাকিবের পরের ওভারে ম্যাককনচির ফ্লিকে ওঠা ক্যাচটি নিলেন মুশফিক। না না, উইকেটকিপার হিসেবে না- মুশফিক ক্যাচটি নিলেন শর্ট মিড উইকেটে লেগে দাড়িয়ে। সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় ওভারে ৪৯ রানে যেতে যেতে নিউজিল্যান্ডের পকেট থেকে সাত উইকেট খরচা সম্পন্ন হয়ে গেছে। ১৫ ওভার শেষ হতেই দ্য ফিজের শেষ আঘাতে ৫৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। আর ৫ রান না যেতেই ৬০ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। যা নিউজিল্যান্ডের রঙিন পোশাকের সবথেকে কম রানে অলআউটের রেকর্ড।