বর্তমান ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান শর্ত বায়ো-বাবল। করোনা মহামারী থেকে ক্রিকেটার অফিসিয়াল ও সহযোগীদের সুরক্ষা দিতে এই প্রক্রিয়া। কিন্তু কঠিন এই প্রক্রিয়া খোলোয়াড়দের জন্য মানা অনেক সময় কঠিন হয়ে পরে পাশাপাশি এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। ঠিক কয়েকদিন আগেই এই বায়ো-বাবল প্রটোকল ভেঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছে লঙ্কান তিন ক্রিকেটার। আবার গতকাল নিষিদ্ধ হওয়া ক্রিকেটারের তালিকায় যোগ হয়েছে আরব আমিরাতের ২ জন ক্রিকেটার।
২ দেশের পাঁচ ক্রিকেটারের নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন। লংকান ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ হয়েছেন বায়োবাবল ভাঙার অভিযোগে, আরব আমিরাতের ক্রিকেটাররা নিষিদ্ধ হয়েছেন কোড অব কন্ডাক্টের পাঁচটি ধারা ভাঙার অভিযোগে।
৮ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ক্রিকেটার ফাস্ট বলার আমির হায়াত এবং ব্যাটসম্যান আশফাক আহমেদ। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইবুনাল গতকাল এই রায় দিয়েছে।
২০১৯ সালে তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির কোড অব কন্ডাকটের ৫টি ধারা ভাঙার অভিযোগ উঠে। তারপর ২০২০ সাল থেকেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন আমির ও আশফাক। তাই ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা ২০১৯ থেকেই কার্যকর করা হবে অর্থাৎ তারা আরও পাঁচ বছর ক্রিকেট আঙিনা থেকে দূরে থাকবেন।
এই রায়ের আগেও গত দুই বছরে আরবের পাঁচটি খেলোয়াড় বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হন। কারণ গুলো ছিলে প্রায় একইরকম- কাদির আহমেদ ৫ বছর, মোহাম্মদ নাভিদ ও শাইমান আনোয়ার এর আগে ম্যাচ পাতানোর দায়ে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন।
আমির এবং আশফাকের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানো, খেলার নির্দিষ্ট কোনো অংশে প্রভাব ফেলা, ঘুষ নেয়া এবং ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আইসিস মনে করেছে এই নিষেধাজ্ঞা অন্যদের জন্যও শিক্ষা হয়ে থাকবে।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আ্যলেক্স মার্শাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,
“ম্যাচ ফিক্সারের কাজ থেকে প্রস্তাব বুঝতে পেরেও আমির ও আশফাক উভয়ই দীর্ঘ সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই দুই ক্রিকেটার আইসিসির বেশ কয়েকটি দুর্নীতি শিক্ষা অধিবেশনগুলিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং কীভাবে কোনো দুর্নীতিবাজ কার্যকলাপ এড়িয়ে চলতে হয় তাও তাদের জানা ছিলো। তারা আইসিসির দেওয়া বাধ্যবাধকতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞাগুলি অন্যদের জন্য সর্তকতা হিসাবে কাজ করা উচিত। “