গত বছর সমস্ত ফরম্যাটের দায়িত্ব দেওয়ার পর অ্যান্ডি বালবর্ণিকে সহায়তা করায় জন্য পল স্টার্লিংকে সহ-অধিনায়ক হিসাবে নিয়োগ করেছে আয়ারল্যান্ড।
স্ট্রলিং আয়ারল্যান্ডের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, ওয়ানডেতে ১১৭ টি ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ টি ম্যাচ খেলেছেন, পাশাপাশি টেষ্ট স্টাটাস পাওয়ার পর তিনটি টেস্টই তিনি খেলেছেন। সাদা বলের দুই ফর্ম্যাটেই তিনি আয়ারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী, এবং ২০১০ সালে কানাডার বিপক্ষে তাঁর ১৭৭ রান আয়ারল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
মিডলসেক্সের প্রাক্তন দুই সতীর্থ যারা লন্ডনে একসাথে খেলেছেন, তারা এখন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। তারা আয়ারল্যান্ড দলকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য দলকে প্রস্তুত করবেন সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সহ সামগ্রিক উন্নতির জন্য কাজ করবেন।
স্টারলিং বলেন ,“বলের কাছ থেকে ফোনে সহঅধিনায়ক হবার কল পাওয়াটা আমার জন্য ঠিক ছিল। আমারা একদম ছোটবেলা থেকে এতটা পথ এখন পর্যন্ত একসাথে খেলে এসেছি। সুতরাং আয়ারল্যান্ড দলকে আগামির পথ গুল একটা দারুণ কাঠমোকতে নিয়ে আসতে আমি তাকে সাহায্য করব।”
“ক্যারিবিয়ান এবং উপমহাদেশে জয় দ্বারা তার অধিনায়কত্বের দুর্দান্ত শুরু হয়েছিল, অধিনায়ক হিসাবে আপনার প্লেটে অনেক কিছুই রয়েছে – বিশেষত আমরা অতীতের চেয়ে কম বয়সী একটি দল, তার চলার পথে মাঠে ও মাঠের বাইরে যেকোনো পরিবর্তনের বাস্তবায়ন করতে আমি সহায়তা করতে পারব ভেবে আমি যথেষ্ট খুশি”
কাউন্টি ক্রিকেটে বিদেশী খেলোয়াড়ের পদমর্যাদা হারানোর পরে স্টার্লিং সম্প্রতি বেলফাস্টে ফিরে এসেছেন। বলবর্ণি’র ডেপুটি হিসাবে তাঁর প্রথম দায়িত্ব হিসেবে ইংল্যান্ড সফর হতে পারে, পরবর্তী মাসের শেষে তিনটি ওয়ানডে সফরের জন্য আয়ারল্যান্ডের প্রস্তাব নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
টি-টুয়েন্টির অধিনায়কয়হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পূর্বে, বলবর্ণি দীর্ঘদিনের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড থেকে ২০১৯ সালে টেস্ট ও ওয়ানডে”র অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
আয়ারল্যান্ড চলতি বছরে আটটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ছয়টি হেরেছে, তবে গ্রেনাডায় টি-টোয়েন্টি জয়ের আগে ব্রিজটাউনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ এক ধাক্কা দিয়েছিল।
বালবর্ণি বলেন, “আমি পলকে আমার প্রায় ১২ বছর বয়স থেকে চিনতাম, যখন আমরা আন্তঃপ্রদেশীয় ক্রিকেটে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি। আমরা আমাদের ক্যারিয়ারে একসাথে শুরু করেছি। আমরা দুজন একই সাথে মিডলসেক্সে গিয়েছিলাম এবং লন্ডনে একসাথে থাকতাম, সুতরাং তিনি এমন একজন যাকে আমি খুব নিকটতম সাথী হিসাবে বিবেচনা করি এবং জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের পাশে তার মত একজন মুল্যবান ব্যাক্তি থকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই আমি সত্যিই এতটুকু দ্বিধায় পরিনি কে আমার সহ-অধিনায়ক হতে পারে, তার কথাই একবারে আমার মাথায় এসেছে”
“ক্যারিবিয়ানে থাকতেই আমি তাকে এ বিষয়ে বলেছিলাম এবং ও আনন্দের সাথে এটি করতে চেয়েছে। আমার ব্যাটিং সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ আমি তার কাছ থেকে গ্রহণ করি, সুতরাং আগামী কয় বছর তাকে ডান হাত হিসেবে পাওয়া সত্যিই রোমাঞ্চকর, আশাকরি ও বিষয়টি উপভোগ করবে।”
“আমি মনে করি আইরিশ স্কোয়াডের মধ্যে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে যারা সহকারী হতে সক্ষম, তবে দিন শেষে এটি আমার সিদ্ধান্ত। খেলার মাঝে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা ব্যপারটা দারুণএবং দুর্দান্ত, তবে পলের সাথে আমি খেলা নিয়ে অনেক আলোচনা করি – এবং এটি স্কোয়াডের জন্য দারুণ ব্যপার হবে। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্যও এটি দরুন একটা বিষয়, পলের মতো কাউকে চেঞ্জ রুমে বা অনুশীলনে পাওয়া। তিনি মাঠে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”