দুঃস্বপ্ন বললেও হয়তো কম বলা হবে! ম্যাচ শুরুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একপ্রকার হার মেনেই নিয়েছিলেন ব্রেমারের সমর্থকরা। তাই বলে এভাবে পরাজয়? খোদ বায়ার্ন মিউনিখই হয়তো কল্পনা করেননি সেটা। রাতে ডিএফবি পোকাল ম্যাচে ব্রেমারে সঙ্গে যেন ছেলেখেলা করলো বাভারিয়ানরা, ম্যাচে ইচ্ছে হলেই যেন গোল করেছে জুলিয়ান নাগেলসম্যানের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে ৫-০। দ্বিতীয়ার্ধে ৭-০। সবমিলিয়ে বায়ার্নের ১২, ব্রেমার এসভি ০। অবিশ্বাস্য এই কাণ্ডটাই ঘটেছে বুধবার রাতে, ওইজার স্টোডিয়ামে। জার্মান ডিএফবি পোকাল ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল ব্রেমারের এসভিকে উড়িয়ে দিয়ে ১২-০ গোলের জয় নিয়ে বাড়ি ফিরেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। নিজে চার গোল ও সতীর্থদের দিয়ে আরও তিনখানা গোল করিয়ে বায়ার্নের তান্ডবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্ট্রাইকার এরিক ম্যাক্সিম চুপো মটিং।
রাতে প্রতিপক্ষ দুর্বল ব্রেমারের সঙ্গে শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রাখে বায়ার্ন মিউনিখ। একের পর এক আক্তমণ করে গোলও দ্রুত পেয়ে যায় দলটি। চুপো মটিংয়ের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। তখনও হয়তো স্বাগতিক ব্রেমার কল্পনা করেনি, কি অবিশ্বাস্য দুঃস্বপ্নের একটি রাত অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।
২৭ ও ১৮ মাত্র দুই মিনিটে দুই গোল, বিরতির আগে আরও ২ গোল। সবমিলিয়ে প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিয় করে ফেলে বাভারিয়ানরা। এরই মধ্যে, ২৮ ও ৩৫তম মিনিটে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাট্রিক পূর্ণ করে ফেলেন স্ট্রাইকার চুপো-মটিং।
বায়ার্ন মিউনিখের মুহুর্মুহু আক্রমণের স্টিম রোলারে কাটা পড়ে ২৭তম মিনিটে নিজেদে জালেও গোল করে বসেন ব্রেমারের জোয়ান লুকা-ওয়ার্ম। ৫-০ গোলর লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বুন্দেস লিগার রাজারা।
প্রথমার্ধে যেখানে শেষ করেছে, দ্বিতীয়ার্ধেও ঠিক সেখান থেকেই শুরু করে বায়ার্ন। বরং এবার যেন আরও আগ্রাসী, আরও বেশি গোল ক্ষুদা দেখা যায় বাভারিয়ানদের মধ্যে। একে একে এবার গোলউৎসব যোগ দেন জামাল মুসিয়া, মালিক টিলম্যান, লেরয় সানে, মিচেল কুসিয়েন্স, চুপো মটিং, বোনা সার এবং কোরেন্টিন টলিসো।
সাত জনের সাত গোলে বিরতির পর আরও ৭ গোল করে সবমিলিয়ে অবিশ্বাস্য ১২-০ গোলের বড় জয় নিয়ে বাড়ি ফিরে জুলিয়ান নাগেলসম্যানের শিষ্যরা।