বিপিএল বিশ্বের ৬টি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মধ্যে একটি যেখানে খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। বিসিবি ২০১৮-২০১৯ বিপিএল মৌসুম থেকে যেসব খেলোয়াড়দের বেতন বাকি রয়েছে তাদের পুরো অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফিকার ( FICA- FEDERATION OF INTERNATIONAL CRICKETERS’ ASSOCIATIONS) এক রিপোর্টে বলা হয় বিপিএল সেই ছয়টি বিশ্বব্যাপী লিগের একটি যেখানে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা হয়েছে।
নিকোলাস পুরান এবং গুলবাদিন নাইব ২০১৮-১৯ সংস্করণের জন্য সিলেট সিক্সার্সের কাছ থেকে তাদের অর্থ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, বিসিবি এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বারবার ১২ মাস ধরে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরও এ বিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।
পুরানকে ট্যাক্স ছাড়ের পরে ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি কেবল ১০,০০০ মার্কিন ডলার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিমানের টিকিটের অর্থ তিনি পাবেন। নায়েব এখনও ৩২,০০০ মার্কিন ডলার বকেয়া পারিশ্রমিকের অপেক্ষায়, যা ঐ মৌসুমে তাকে ১১ টি খেলার জন্য প্রদান করার কথা ছিল।
প্রথম দুইটি মৌসুমের পর অনেক খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মাধ্যে এ সংক্রান্ত ঝামেলা দেখা দেয়। অনেক খেলোয়াড় ই তাদের পারিশ্রমিক ঠিক মত পায়নি। এরূপ অব্যবস্থাপনার কারনে বিসিবি বিপিএলের পেমেন্ট সিস্টেম ঢেলে সাজিয়েছে, গত কয়েক মৌসুমে, বিসিবি সময়কালে বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে তাদের প্রাপ্ত অর্থ প্রদানের কারা হয়েছে। ২০১৯-২০ মৌসুম সহ অন্য মৌসুমের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে।
বিসিবি-র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, যে আইনি কারণে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম উল্লেখ করতে পারছেন না, বেতনের বিষটি সম্পর্কে তিনি ভাল জানেন এবং শিগগিরই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, “এটি বিসিবির জন্য উদ্বেগের বিষয়, তারা এটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে, কারণ বিসিবি একরকমভাবে দায়বদ্ধ। কিছু ফ্রাঞ্চাইজি ২০১৮-২০১৯ মৌসুমের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক প্রদানের শর্তাদি পূরণ করে নি, এসংক্রান্ত বিষয় তারা খেলোয়াড়দের এজেন্টের ম্যাধ্যমে জানেন। খেলোয়াড়দের কার কত পাওনা তার সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য তারা খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে তারা কথা বলে পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি যে ফ্রাঞ্চাইজি অর্থ প্রদান করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।”
ফিকা তাদের একটি প্রতিবেদনে তাদের সাইটৈ উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আইসিসি ইভেন্টের অর্থ দেওয়া হয়নি। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অস্বীকার করে বলেছে যে আইসিসি তাদের টাকা পাঠানোর সাথে সাথে এই অর্থ খেলোয়াড়দের প্রদান করা হয়েছে।
তিনি জানান প্রাথমিকভাবে এই অর্থ প্রদানে কিছুটা বিলম্ব করেছি তবে এই পরিমাণ অর্থের সমুদয় অর্থ তারা প্রদান করে দিয়েছে। “তিনি ২০১২ বিশ্বকাপের জন্য অর্থ প্রদানের কথা উল্লেখ করেন” বিসিবি সাধারণত উক্ত পারিশ্রমিকের সাথে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে এই পারিশ্রমিক সাধারনত বাড়িয়ে তোলে। আইসিসির পুরষ্কারের অর্থ তাদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে তারা খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতরণ করে।
বিসিবির অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন উৎস হতে অর্থ আসে। মিডিয়া রাইটস্, আইসিসি এবং এসিসি এমন বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ করে। তাই অর্থ পাওয়ার পরপরই তারা প্রথমে শুল্কের কাজ করে। এইসব কারনে অর্থ প্রদান কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল তবে এটি খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, যা তারা গত কয়েক বছরে সুসম্পন্ন করে আসছিলো।