ক্রিকেটের নবশক্তি হিসেবে নিজেদের উত্থানের গল্পটা দুর্দান্ত ভাবেই লিখেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। টেস্ট খেলুড়ে দলের মর্যাদা পাওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু তারকা ক্রিকেটারও উপহার দিয়েছে দেশটি।
আফগানদের উত্থান মুলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কল্যাণেই। টেস্ট ও ওয়ানডেতে এখনো নিজেদের শক্তির যেভাবে জানান দিতে না পারলেও টি-টোয়েন্টিতে বেশ শক্ত অবস্থানই রশিদ খানদের।
আরব আমিরাতে হতে যাওয়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাত্র মাস দুইয়েকই বাকি। তবে এই টুর্নামেন্টে নাও দেখা যেতে পারে রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, মোহাম্মদ নাবীদের, দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতায় আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই দেশটিতে চলছে তালেবানদের আগ্রাসন, একের পর এক শহর দখল করে নিচ্ছে তারা। অন্যত্রও আফগান সরকারের সাথে চলছে লড়াই, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানী কাবুলকেও ঘিরে রেখেছে তালেবানরা।
আফগানিস্তানের ৬ টি প্রধান স্টেডিয়ামের ৩ টিরই পুরোপুরি দখল নিয়েছে তালেবান, যে স্টেডিয়াম গুলোতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল আফগান ক্রিকেটারদের। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিতে উদ্যোগের বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারছে না, আদৌ অনুশীলন করতে পারবে কি-না আফগান ক্রিকেটাররা সেটা অনিশ্চিতই।
তালেবানদের দখলে নেওয়া স্টেডিয়াম গুলো হলো, কান্দাহার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খোস্ত সিটি স্টেডিয়াম ও কুন্দুজ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। অবরুদ্ধ কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও বলখ স্টেডিয়াম তালেবানদের দখলে আসা সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জালালাবাদের গাজি আমানুল্লা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামও বন্ধ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের চাইতে দেশটির জনগণের জীবন রক্ষায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ, দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান, মোহাম্মদ নাবীরা আফগানিস্তান ও তাদের জনগণের জীবন রক্ষায় আকুতি জানিয়েছেন।