অলি রবিনসন একজন ইংল্যান্ড ফাস্ট বলার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে টুইটার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম যেখানে পোস্ট বা আপলোড করার পর তা মিনিটের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সবকিছু অবগত থাকার পরও রবিনসন যৌনতাবাদী ও বর্ণবাদী নিয়ে এক অপ্রাসঙ্গিক টুইট করেছিলেন। যার ফলে তাকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু যখন তিনি টুইট করেছিলেন তখন তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেননা এবং নিজে থেকে পরবর্তীতে ক্ষমা চাওয়ার কারণে তার শাস্তি কমিয়ে দিচ্ছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
গত মাসে টেস্টে অভিষেকের সময় টুইটারে আপত্তিকর টুইট গুলো প্রকাশের প্রক্ষিতে অলি রবিনসনকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিকেটে থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ক্রিকেট শৃঙ্খলা কমিশন তাকে আট ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে এবং পাশাপাশি তাকে ৩২০০ ডলার জরিমানা ও দিতে হবে বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে রবিনসন তখন তার বয়স ১৮-২০ বছর বয়়স এই সময়ের মধ্যে করা এই টুইটগুলিতে বর্ণবাদী ও যৌনতাবাদী বিষয়বস্তু ছিল যা ইসিবির কাছে বিশেষ বিব্রতকর। এই টুইট প্রকাশ পায় লর্ডসে খেলা শুরুর আগে ইংল্যান্ড স্কোয়াড যখন “moment of unity” পক্ষে ক্রিকেটে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের প্রতি নিন্দা জানিয়ে টি-শার্ট পড়া অবস্থায় অবস্থান নিয়েছিল।
নিউজিল্যান্ড সাথে টেস্ট চলাকালীন রবিনসন দুই ইনিংসে ৭ উইকেট ও প্রথম ইনিংসে ৪২ রানের একটি ইনিংস খেলেন। ঐ টেষ্টের পর তাকে ইংল্যান্ডের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তদন্তের জন্য দল থেকে বাদ পরার পরে তিনি সাসেক্সের হয়ে খেলা থেকে কিছু দিন বিরতি নেন। ৩০ শে জুন শুনানিতে কমিশন তার রায় পৌঁছানোর সময় এই বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়েছিল।
রবিনসন এর করা টুইটগুলো যে ইসিবির ৩.৪ও ৩.৫ ধারা ভঙ্গ করেছে তা আগেই স্বিকার করে নিয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে করা টুইটগুলোর সময় তার বয়স ছিল ১৮ – ২০ বছর এর মত। ঐ সময়ে করা বেশ কয়েকটি আপত্তিকর টুইট সম্পর্কে ইসিবি নির্দেশনা এবং লঙ্ঘনের বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। টুইটগুলি প্রকাশিত হয়েছিল ২১ শে জুন, ২০২১ ঐ দিন ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে তার প্রথম টেস্ট ম্যাচের দিন। ইসিবি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে ৩০ শে জুন শুনানি শেষে প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রবিনসনকে আট ম্যাচের জন্য ক্রিকেট খেলা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা উচিত। যারমধ্যে পাঁচটি ম্যাচ আগামী ২ বছরের মধ্যে আরোপ করা হবে।
তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা বিষয় হিসাবে প্রথম ৩টি ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ইংল্যান্ড দল কর্তৃক আরোপিত স্থগিতাদেশকে বিবেচনা করেছে এবং রবিনসন দু’টি ভায়ালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে এগুলো বিবেচনায় এনেছে।
রবিনসন এখন চাইলে ক্রিকেট খেলতে পারবেন। তার মানে রবিনসন ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ ৪ আগস্ট ট্রেন্ট ব্রিজ অংশ নিতে পারবে।