ভূতের দৌড়ে ট্রাজিক হিরো ল্যান্স ক্লুজনার!
সাউথ আফ্রিকা দলটি বরাবরিই দুর্দান্ত। ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপেও দারুন ছিল দলটি! তাই সেমিফাইনালে পৌছাতেও বেগ পেতে হয়নি তাদের। যদিও সুপার সিক্স পর্বে জিম্বাবুয়ের সাথে হেরে অঘটন জন্ম দিয়েছিল।
১৯৯৯ এর সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুরন্ত অস্ট্রলিয়ার। ৬৮ রানের ৪ উইকেট হারানো দলটি ক্যাপ্টেন স্টিভ ওয়াহ ও মাইকেল ভেবানের দৃঢ়তায় পোলক ডোনাল্ডেদর সামলিয়ে বোর্ডে লড়াই করার জন্য জড়ো করেছিল ২১৩ রান।
২১৩ রানের লক্ষ্য পাহাড়সহ করে তুলেছিল লেগী ওয়ার্ন। তবে সাউথ আফ্রিকা ছিল লক্ষ্যে অবিচল।
শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়াই ৬ বলে ৯ রান! স্টাইক প্রান্তে ১২ বলে ২৩ করা ল্যান্স ক্লুজনার। ফ্লেমিং এর প্রথম দুই বলেই অসাধারণ দুই চার!(যারা ম্যাচ/হাইলাইট দেখেছেন তাদের চোখে লেগে থাকার মতো শট)। স্কোর লেভেল!!
৪ বল থেকে ১ রান হলেই স্বপ্নের ফাইনালে পা রাখবে সাউথ আফ্রিকা। পঞ্চাশতম ওভারের ৩য় বলে ক্লুজনার মিড অনে পুল করার সাথে সাথে উইকেট থেকে বের হয়ে যান অপরা প্রান্তে থালা শেষ ব্যাটসম্যান ডুনাল্ড। ল্যাহম্যানের থ্রুতে বলটি যদি স্ট্যাম্পে চুমু খেত তখনই ম্যাচের পরিসমাপ্তি হতো, কারন ডুনাল্ড ছিলের বাইরে। ইতোমধ্যেই স্টিভ ওয়াহ সব ফিল্ডার ৩০গজের বৃত্তে নিয়ে এসেছেন। যেন ক্লুজনার আহ্বান করেছেন, নাও বাপু, পারলে আরেকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতো।
আগের বলটিতে ডুনাল্ডের রানআউটের সম্ভবনা, নাকি ওয়াহার মাইন্ড গেমে….অথবা ফাইনালে যাওয়ার চাপ, যে কারনেরই হোক ভূত চেপেছিল ক্লুজনারের মাথায়। ৪র্থ বলটিকে ব্যাটে স্পর্শ করিয়েই যেন দিলেন ভোঁদৌড়!
অপরপ্রান্তে সতীর্থ ডুনাল্ড বার দুয়েক তাকে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বাইশগজ পার হতেই যেন দৌড়াচ্ছিলেন ক্লুজনার। যতক্ষণে ডুনাল্ড বুঝতে পারলেন ক্লুজনারকে আর থামানো যাবে না, তাকেই বাইশগজ অতিক্রম করতে হবে ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। বল যে পৌছে গেছে উইকেটরক্ষক গ্লিলক্রিস্টের হাতে…..
ফলাফল ম্যাচ ‘ড্র’! গড় রানরেটে এগিয়ে থেকে ফাইনালে গেল অজিরা, আর নামের পাশে চোকার ট্যাগ লাগালো প্রোটিয়ারা।
#আজকেরদিনে