অস্ট্রেলিয়ার কাছে মুস্তাফিজ যেনো এক দুঃস্বপনের নাম। এই ম্যাচের (চতুর্থ) আগে আমরা তাকে খেলার নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছি। তাকে সামনের পায়ে খেলব নাকি পেছনের পায়ে, অফ সাইডে খেলব নাকি লেগ সাইডে। তার বলে এত কিছু হয়, পিচেও বল উঠা-নামা করে তার বল কেমন হবে বোঝার উপায় নেই। সামনের পায়ে তাকে খেলা সত্যিই কঠিন কারণ কোনো বল টার্ন করবে, কোনোটি বাউন্স করবে বোঝা কঠিন।
এটা (মুস্তাফিজের কাটার) দারুণ গতিময় রাশিদ খানকে খেলার মতো। অবশ্যই আমরা কোনো সমাধান বের করতে পারিনি। কারণ এই ম্যাচেও সে ওভারপ্রতি মাত্র ২ রান করে দিয়েছে। সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং কন্ডিশনটাকে নিজের পক্ষে দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে সে।
সফর করবার পুর্বে নিজেদেরকে অস্ট্রেলিয়া দাবী করেছিল ফেভারিট হিসেবে। তবে আকাশ থেকে মাটিতে পরবার মতই অবস্থা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।
পরপর তিন ম্যাচ হেরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজই হেরে বসে বাংলাদেশের কাছে। প্রতিটি ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের রীতিমত নাকানি চুবানি খাইয়েছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। প্রতি ম্যাচেই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন নিজের উচ্চতাকে।
প্রথম ম্যাচে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৪ ইকোনমিতে ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। পরের ম্যাচে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজুর ছিলেন রীতমত অবিশ্বাস্য, কোন উইকেট না পেলেও মুস্তাফিজ ৪ ওভার বল করে রান দিলেন মাত্র ৯।
শেষ ম্যাচে সবকিছুকেই ছাড়িয়ে গেলেন দ্য ফিজ। কাটার আর স্লোয়ারের বিষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রতি ম্যাচের পর সংবাদ মাধ্যমে মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে অসহায়ত্বের কথা শিকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।
অ্যাস্টন অ্যাগার, মইশেস হেডরিকস, মিশেল মার্শের পর ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের মুখেও গতকাল ফুটে উঠলো ফিজের বন্দনা। মুস্তাফিজকে নিয়ে বলতে গিয়ে ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘মুস্তাফিজকে খেলা অসম্ভবের কাছাকাছি। এটা দারুণ গতিময় রশিদ খানকে খেলার মতো।’
৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামী ৯ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময় বিকেল ৬ টার সময় অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচ।