জোফরা আর্চার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বায়োসিকিউরিটি লঙ্ঘনের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,বলে প্রকাশ করেছেন। শেষ একটি সপ্তাহ তাঁর পক্ষে কতটা কঠিন ছিল সে সম্পর্কে তিনি বলেছেন।
গত মঙ্গলবার আর্চার যখন হোভে তার ফ্ল্যাটে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন এই সিরিজের জন্য নির্ধারিত কঠোর নির্দেশাবলীর প্রোটোকল তিনি ভেঙে ফেলেছিলেন। তাকে দ্বিতীয় টেস্টের আগে ৫দিন সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল এবং এই জন্য তিনি দ্বিতীয় টেস্টে দলের বাইরে ছিলেন এবং ইসিবি তাকে জরিমানা ও লিখিত সতর্কবার্তা ও দিয়েছিল।
ডেইলি মেইলের কলামে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব এবং একজন খেলোয়াড়ের চঞ্চল প্রকৃতি কিভাবে এক মুহূর্ত নায়ক থেকে কঠিন ভাবে সমালোচিত করে তুলতে পারে তা বলেছেন। তিনি বোঝেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললে এমন হওয়া টা স্বাভাবিক, কিন্তু কিছু দিন থেকে তিনি কিছু অবমাননার স্বিকার হয়েছেন এ বিষয়ে তিনি ইসিবির সাথে আলোচনা করেছেন।
আর্চার বলেছেন, “ইনস্টাগ্রামে আমি গত কয়েক দিন ধরে যে ধরনের অপব্যবহার পেয়েছি তা স্পষ্টত বর্ণবাদী ছিল এবং আমি চিন্তা করেছি যে যথেষ্ট হয়েছে” আর্চার বলেছেন, “যেহেতু ক্রিস্টাল প্যালেস ফুটবলার উইলফ্রিড জাহাকে ১২ বছর বয়সী একজন অনলাইনে অবমাননা করেছিল, সুতরাং আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এখানে একটি রেখা টেনে দিতে চাই এবং আমি কোনও কিছুই এ রেখা অতিক্রম করতে দেব না। তাই আমি আমার অভিযোগ ইসিবিতে প্রেরণ করেছি এবং এটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।
তিনি মনে করেন, সবার যে সবসময় ভালো মুহূর্ত যাবে এমন কিন্তু না। মাঝে তার কাছে মনে হয় এটা সত্যিকারের আনূকুল পৃথিবী না। শেষ কিছু দিনে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বেশ কিছু প্রফাইল আনফলো ও মিউট করেছেন যেন এগুলো তার দেখতে না হয়। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর ফিরে দেখতে চান না, এগুলো তার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তার মনে হয় আমরা একটা অস্থির পৃথিবীতে বসবাস করি!
এসব ঘটনার কারনে তিনি নেটে বল করায় কোন উৎসাহ বা অনুপ্রেরণা পাচ্ছিলেন না। ৫ দিন পর স্বেচ্ছা বিচ্ছিন্ন থাকার পর তিনি তখন ঘরের বাইরে প্রথমবারের মতো বের হয়েছেন প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি ক্যামারার ক্লিকের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। প্রতিটি বিষয় তাকে অস্বস্তি ফেলেছে। তিনি যা করেছেন তা ভুল ছিল এবং এর জন্য তিনি প্রতিদান ও দিয়েছেন। তিনি কোনও অপরাধ করেন নি এবং তিনি নিজেকে আবার অনুভব করা শুরু করতে চান।
তিনি ডাক্তার ও বেন স্টোকসের সাথে সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। বেন স্টোকস তাকে বুঝিয়েছেন কিভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিড়া অঙ্গনের স্পট লাইট মোকাবেলা করতে হয়। স্টোকস তাকে মানসিক ভাবে যথেষ্ট সাহস যুগিয়েছেন। তিনি শতভাগ ভাগ মানসিক ভাবে ফিট হয়ে নিজেকে ক্রিকেটের সাথে আবার যুক্ত করতে চান।