গুছানো টিম নিয়ে গুছানো শুরুই হয়েছিলো খুলনা টাইগার্সের। এনামুল হক বিজয় ইয়াং টিমটাকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বেশ ভালোভাবেই। দেশি ইয়াংস্টারদের সাথে বিদেশি পারফর্মাররা মিলে টিমটাকে বানিয়েছিলেন আনডিফিটেবল।
সেখান থেকে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে জিততে জিততে হেরে যায় দলটি। শেষ ২ ওভারে ৩৭ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে ফরচুন বরিশাল, পরের ম্যাচে কুমিল্লার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে দলটি।
আজ সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শুরুটা হয়েছিলো ভালোই। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে সংগ্রহ ছিলো ১ উইকেটে ৪৬। পরের ৭-১৬ এই ১০ ওভারের পিরিয়ডে রান তুলতে পেরেছিলো মাত্র ৪৬। শেষদিকে সোহান-এনামুলের তান্ডবে ৪ ওভারে ৬০ নিয়ে ১৫৪ রানের একটা চ্যালেঞ্জিং টোটালও দাড় করায় সিলেটের জন্য।
মিরপুরের ডিফিকাল্ট উইকেটে এই রানকে মনে হচ্ছিলো উইনিং টোটাল। বিশেষ করে মিডল ওভারে হাবিবুর রহমান সোহান আর এনামুল হক বিজয়ের ধুকতে থাকা দেখে।
কিন্তু সিলেটে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ছিলো বেশ সাবধানী আর হিসেবি। তারা সেভাবেই এগিয়েছে যেভাবে এই উইকেটে তাদের আগানো উচিত ছিলো। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও প্ল্যানিংয়ে কোনো ভুল করেনি তারা। কখনোই আক্রমণাত্মক কিংবা ডিফেন্সিভ হয়নি হ্যারি ট্রাক্টর, শান্ত, মিথুন, বার্লরা। ম্যাচসেরা ট্রাক্টরের ৬১ রানের ইনিংসের পাশাপাশি শান্ত, রিয়ান বার্ল, মিথুনদের ছোট ইনিংসগুলোও ছিলো কার্যকরি। এইবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা রুবেল হোসাইন দেন ২ ওভারে ৩৬।
টানা পাঁচ ম্যাচ হারা সিলেট নিজেদের শেষ চার ম্যাচে পেয়েছে তিন জয়। ঠিক যেন খুলনা টাইগার্সের উল্টো। শেষদিকে এসে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিল হয়তো জমেই উঠছে। সন্ধ্যায় অপর ম্যাচে মাঠে নামবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বনাম দূর্দান্ত ঢাকা।