বর্তমান করোনা পরিস্থিতি তে ইংরেজদের ভুগতে হয়েছে বাঙালির চেয়ে বেশি। তবে তারা সর্বক্ষেত্রেই বাঙালি থেকে এগিয়ে আর যখন সেটা ক্রিকেট তখন তো মনে হয় খেলতে নামার আগেই জিতে যাবে না তো?
করোনার কারণে কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট এ সংশ্লিষ্ট থাকা সকলকে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে ক্লান্ত ক্রিকেটার রা। ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া সব ক্রিকেট বোর্ড গুলো খানিকটা বাধ্য হয়ে ছুটি দিচ্ছেন জাতীয় দলের প্লেয়ারদের।
হা
ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে স্বস্তি দিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর নীতি গ্রহন করেছেন তারা। তাই কিছু দিন জাতীয় দলের খেলা শেষে বায়োবাবল থেকে আসার পরই তারা সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা খেলাতে বা সিরিজ এ ডাকছেন না ইম্পরট্যান্ট কিছু খেলোয়াড়দের। তাদের বিশ্রাম দিচ্ছেন পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। তাদের জায়গায় খেলতে দেখা যাচ্ছে কিছু তরুণ খেলোয়াড় কে কিছু নতুন মুখ কে এটা তাদের জন্য ক্ষতিকর নাকি লাভজনক আমার ভাষ্যমতে লাভজনক।
তাই বায়োবাবলের ধকল থেকে মুক্তি পেতে ছুটি চাচ্ছে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একটা অংশ। ঠিক এই কারণেই জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলছেন না মুশফিক।
মহামারীর এই প্রকোপ এর জন্য হতাশ বিসিবিও বাস্তবতা মেনে নিলো এবং ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো সাকিব, তামিম, মুশফিকদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর নীতি গ্রহন করতে যাচ্ছে। তবে এখনই সেটা সম্ভব না, বিসিবির পরিকল্পনা হলো আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর রোটেশন পলিসি চালু করার।
রোটেশন পলিসি সম্পর্কে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে জানালেন,
রোটেশন পলিসি চালু করার কথা এখন হচ্ছে তা নয়। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,ভারত,নিউজিল্যান্ডে এর মতো দলের পর্যায়ে যেতে হলে প্রতি ফরম্যাট এ আলাদা দল লাগবেই। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড আর টেস্ট স্কোয়াড কখনোই এক হতে পারে না। ঐদলগুলোর কোনো সমস্যা হয় না কারণ তাদের দল আলাদা অনেক খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারে।
অনেকটা বাধ্য হয়েই রোটেশন পলিসি গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এর পরপরই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ আসবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। একই সময় বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর ও আছে। কোয়ারান্টাইন ইস্যুর কারণে না চাইলেও তাই রোটেশন পলিসি নিতে হবে বিসিবির।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “আমাদের তিন ফরম্যাট এই মূল খেলোয়াড়রা থাকে। যার কারণে তাদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই মূহুর্তে এটা বদলানো সম্ভব না। তবে আমি মনে করি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আমরা এটা করতে পারবো।আমাদের এটা করতেই হবে কোনো বিকল্প নেই।
পাকিস্তান বাংলাদেশে খেলতে আসবে বিশ্বকাপের পর। তখন নিউজিল্যান্ড সফর তাই দুইটা দল লাগবেই। কোয়ারেন্টাইন ইস্যু আছে নিউজিল্যান্ডে আগে চলে যেতে হবে তাহলে পাকিস্তানের সাথে খেলবে কে? বিশ্বকাপের পর আমরা রোটেশন পলিসি শুরু করবো,এবং চেষ্টা করবো আলাদা আলাদা দল রাখার।
সুতরাং রোটেশন পলিসি চালু করে ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ করে দেওয়া এবং নতুন নতুন খেলোয়াড়দের ক্রিকেট দলের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার এটাই এখন উপযুক্ত সময়। আশা করি নতুন পলিসি এপ্লাই করে ভালো ফল পাবে বাংলাদেশ দল।