সাকিব কে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে ও টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মাইলফলকের এই ম্যাচ দিয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রায় ১৫ বছর পর এই সংস্করণে শততম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে টাইগাররা। কাকতালীয় ভাবে যেখানে শুরু সেখানেই শতক।
শততম ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের উৎযাপনের উপলক্ষ্য। এর আগে বাকি দুই সংস্করণের শততম ম্যাচের মাইলফলকে জয় দিয়ে উৎযাপন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। তবে বাংলাদেশ শততম ওয়ানডে খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছে আরও ১৭ বছর আগেই। এইবার টি-টোয়েন্টির শততম ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যই খেলছেন টাইগাররা জয় পেতে প্রয়োজন ১৫৩ রান।
শততম এই টি-টোয়েন্টি অবশ্যই রাঙিয়ে রাখতে চাইবেন টাইগাররা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাকিব কে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অধিকনায়ক রিয়াদ।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে সাকিব টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলেও খেলেননি টি-টোয়েন্টি এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে দলে পাওয়া নিয়ে ক্যাপ্টেন রিয়াদ বললেন,
“আমি খুব খুশি যে সাকিব ফিরেছে, সে ব্যাট বলে খুবই ভালো করছে। আরও কয়েকজন নতুন প্রতিভাবন ক্রিকেটার দলে এসেছে, তাদের ফিল্ডিং অনেক ভালো। সব মিলিয়ে সবাই ভালো খেলছে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করছে। সব সংস্করনেই শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই শুরুটা ভালো করতে পারি এটাই আশা থাকবে।”
এই সফরে যে বাংলাদেশ একটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন তার সবকটি তেই জয় পেয়েছে সফরকারীরা।
রিয়াদ আরো বলেন, “টেস্টে ভালো খেলেছি। ওয়ানডেতে তিনটা ম্যাচই জিতেছি। বোলাররা ভালো করেছে। সেই আত্মবিশ্বাসটা অবশ্যই থাকবে। ম্যাচে কাজে লাগিয়ে ফলটা নিজেদের পক্ষে আনতে পারি।”
তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমকে। তাদের অভাব নিয়ে রিয়াদ বলেন, “প্রতিটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। কারণ কাউকে এই সংস্করনের খেলায় ফেভারিট বলা খুব কঠিন।
ওই দিন যে ভালো খেলবে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আমরা অবশ্যই তামিম ও মুশফিককে মিস করব। দুজনই আমাদের জন্য অনবদ্য খেলোয়াড়। তারপরও আমি বলব, এটা বাকিদের জন্য সুযোগ বাংলাদেশকে জেতানোর জন্য।”
জিম্বাবুয়ে ১৫২-১০(১৯.০)
চাকাভা ৪৩ (২২)
মায়ার্স ৩৫ (২২)
মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-৩
শরিফুল ৩-০-১৭-২
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ
৭৬/০(১০)
নাইম ৩৭ (২৭)
সৌম্য ৩৬(৩৫)