সাদমান-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় বাংলাদেশের

0
1470

হারারেতে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে আজ চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শেষে ৪৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

সবসময় বলা হয় টাইগারদের ওপেনিং ব্যর্থতার কথা। একজন ওপেনারও বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে পারে না। ইনিংস বড় করতে পারে না এই সব হিসাব নিকাশকে উড়িয়ে দিয়ে আজ (শনিবার) হারারেতে একজন ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং ২য় জন ওয়ান ডাউনে নামা শান্ত শতক হাঁকান। সাদমান ইসলাম ১১৫ ও নাজমুল শান্ত ৬ ছক্কায় ১১৭ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন।

বিনা উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন, আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম দিনের শুরুতে দেখেশুনে ডিফেন্সিভ খেলেন তাই রান রেট ছিল ২ এর মতো। তবুও ফিফটির দিকে এগোচ্ছিলেন সাইফ হাসান কিন্তু প্রথম ঘন্টা পেরোতেই রিচার্ড এনগ্রাভার বলে ডিওন মার্য়াসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে ফিরে যান সাইফ।

সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রানের ইনিংস, প্রথম ইনিংসে সেট হয়েও মাত্র ২৭ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় সাদমানের। কিন্তু সেই আফসোস মিটিয়ে নিলেন ২য় ইনিংসে শতক হাঁকিয়ে।

দলীয় ৮৮ রানে সাইফের বিদায়ের পর সাদমানের সাথে জুটি বাঁধেন নাজমুল শান্ত। তারপর জিম্বাবুয়ের বোলারদের আর কোন সুযোগ দেননি বাংলাদেশী এই দুই ব্যাটসম্যান।

মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন সাদমান ও শান্ত। এরপর সময় যত গড়িয়েছে তোতই রান যোগ হয়েছে স্কোর বোর্ডে। সাদমান ইসলাম ধৈর্যের সাথে খেলে তুলে নেন তার প্রথম সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদমানের সেঞ্চুরির পর আর অপেক্ষা না করে শান্তও তুলে নেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২য় সেঞ্চুরি। শান্ত ৮৩ তে পৌছানোর পর মারকুটে ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো আমরা টি-টোয়েন্টি দেখছি।

সাদমান এবং শান্তর এই জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশ পেয়েছে এক বড় সংগ্রহ। রীতিমতো জিম্বাবুয়ের জন্য এটা পাহাড়সম রান। জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়াল ৪৭৭ রান।

আজ ৩২ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ – ৪৬৮/১০, (মুমিনুল হক ৭০, লিটন দাস ৯৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫০*, তাসকিন আহমেদ ৭৫, ব্লেসিং মুজরাবানি ৪/৯৪)।

২য় ইনিংস – ২৮৪/১ (৬৭.৪ ওভার – সাইফ হাসান ৪৩, নাজমুল শান্ত ১১৭*, সাদমান ইসলাম ১১৫*, রিচার্ড এনগ্রাভা ১/৩৬)।

জিম্বাবুয়ে – ২৭৬/১০ ( ১১১.৫ ওভার – মিল্টন শুম্ভা ৪১, তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো ৮৭,ব্রেনডন টেইলর ৮১, ডিওন মের্য়াস ২৭, রেজিস চাকাভা ৩১*, মেহেদী হাসান মিরাজ ৫/৮২,সাকিব আল হাসান ৪/৮২)।