বহুদিন যাবত ফাকা ছিলো বাংলাদেশের স্পিন কোচের আসন। সেই আসনে জায়গা করে নিলেন শ্রীলঙ্কান সাবেক টেস্ট ক্যাপ্টেন রঙ্গনা হেরাথ। এই শ্রীলঙ্কান ক্যাপ্টেন সফল একজন স্পিন বোলার। বাংলাদেশী প্লেয়াররা তাকে ব্যাখা করার আগেই বলেন ওর্য়াল্ড ক্লাস প্লেয়ার ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ।
চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই যোগদান করেছেন বাংলাদেশ দলের সাথে, প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডকে। যেহেতু এখনও ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়নি তাই কাজ করতে পেরেছেন শুধু মাত্র টেস্ট স্কোয়াডের সাথে।
গত ১১ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশ জয় পাওয়ার পর দেশে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডের কিছু প্লেয়ার যারা ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই। তাদের মধ্যে নাইম হাসানকে সম্প্রীতি একটা ইন্টারভিউ দিতে দেখা গেছে রঙ্গনা হেরাথ এর সম্পর্কে, ইন্টারভিউটির বিস্তারিত –
নতুন কোচ রঙ্গনা হেরাথ আপনি ও তার সাথে কাজ করেছেন এই প্রথম কেমন ছিলো এক্সপেরিয়েন্স?
নাইম হাসান– “উনি আসলেই খুব ভালো মানুষ এবং ভালো কোচ, উনি তো ওর্য়াল্ড ক্লাস প্লেয়ার। ওনার সাথে কাজ করেও ভীষণ ভালো লেগেছে মজা পাইছি। উনি বলেছিলো ম্যাচ খেলি নাই এটা নিয়া হতাশ হওয়ার কিছুই নেই আরও ভালো খেলতে ধৈর্য ধরতে আর নিজের কাজটা করে যেতে যেকোনো সময় সুযোগ পাবো তখন কাজে লাগানোর জন্য, এখন যেহেতু সুযোগ আসতেছে না তাই এখন সাধনা করতে বলেছেন, আর আমিও মনে করি এখন সাধনা করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ রহমতে ভালো কিছু আসবে।
বাংলাদেশের এখনকার স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ তিনি ও মুরালির জন্য লম্বা সময় খেলতে পারেননি এই ব্যাপারে তিনি কি কোনোকিছু শেয়ার করেছেন বা বলেছেন আপনাদের কে, আপনাকে মিরাজ বা তাইজুল বা সাকিবকে?
নাইম হাসান – উনি বলেছিলেন উনি প্রথম দশ বছরে মাত্র ১৪টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মুরালির জন্য জায়গা পাননি দলে কিন্তু যখন মুরালি অবসর নিলেন তখন উনি দলের হয়ে ৮১ টা টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন আর এখন তো উনি ওর্য়াল্ড ক্লাস প্লেয়ার, আর উনি বলেছিলেন অনেকদিন ধরে ধৈর্য ধরতে হয়, যখন সুযোগ পাবে তখন কাজে লাগাইতে হয়। উনি তো অনেক লম্বা সময় ধৈর্য ধরেছিলেন ওনার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, দশবছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছে কম সময় না দশ বছর।
হেরাথের কাছ থেকে কোন টিপস টা পেয়েছেন যেটা নতুন বা যেটা আপনার কাজে লাগতে পারে?
নাইম হাসান – আসলে উনি আমাকে বলেছিলো টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য ধরতে হয় নয়তো ফল পাওয়া যায় না, আর উনি এটাও বলেছে যে দশ ওভার বোলিং করে ১টা উইকেট নেয়ার চিন্তা করতে, উইকেট অনুযায়ী প্ল্যান করে করে বোলিং করা, এটাই আমার কাছে নতুন কারণ এর আগে কেউ এইভাবে বলেনি যে একটা উইকেটের জন্য দশ ওভার ধৈর্য ধরতে, আর একজায়গায় যদি ধৈর্য ধরে বোলিং করি এক্সট্রা অর্ডিনারি বোলিং হয়ে গেলে তো উইকেট আসলো আবার অনেক সময় দেখা যাবে যে লম্বা সময় উইকেট পাচ্ছি না তখন ধৈর্য ধরতে হবে আবার অনেক সময় দেখা যাবে এক ওভারে ২/৩ টা উইকেট ও আসবে , টেস্ট খেলাটাই হলো এরকম ধৈর্য ধরতেই হবে।
তার মানে আপনার স্পিন বোলিং কোচ আপনাকে ওই শিক্ষা টাই দিচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটে যেমন ধৈর্য ধরতে হয় টেস্ট খেলার জন্যও তেমন ধৈর্য ধরতে হয়,তাই তো বিষয়টা যদি ভুল না বুঝে থাকি আরকি?
নাইম হাসান – জ্বি, না ভুলেন বুঝেন নাই।
তো এখন তো খেলা নেই এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তো এখন কি প্ল্যান আপনার, ক্রিকেট বোর্ড থেকে কোনো প্ল্যান দেওয়া হয়েছে কি না?
নাইম হাসান – এখন আসলে যেহেতু খেলা নেই এখন ই আসলে নিজে কে তৈরি করার সবচেয়ে ভালো সময়, কারণ মাজখানে ইনজুরি ছিলো এরপর খেলায় আসলাম খুব একটা নিজেকে তৈরি করার সুযোগ পাই নাই, এখন হেরাথের সাথে কাজ করছিলাম উনি ও অনেককিছু টিপস দিছে কীভাবে কী করলে ইম্প্রুভ হবে সেটা ও জানা হলো।এখন তো করোনার জন্য সবকিছু অফ তাই চিন্তা করতেছি এখন আমার জন্য নিজেকে একা একা তৈরি করার সবচেয়ে ভালো সময়। যখন আবার টিমের সাথে যাবো বা ছায়াদল যদি হয় যদি কল পাই তাহলে ক্যাম্পের মধ্যে প্রাকটিস করলে আরকি ভালো হয়।
আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশ টাইগার্স বা ছায়াদল যে হতে যাচ্ছে এটা আসলে জাতীয় দলের বাইরে যখন আপনারা থাকবেন তখন আপনাদের দারুণ ভাবে হেল্প করবে কিনা?
নাইম হাসান – হ্যাঁ অবশ্যই কারণ তখন তো সবসময় আমরা খেলার মধ্যে থাকবো প্রাকটিসের মধ্যে থাকবো মানে যেটা কোয়ালিটি প্র্যাকটিস সেটার মধ্যে থাকবো আসলে আমরা প্র্যাকটিস সবাই করি কিন্তু কোয়ালিটি প্র্যাকটিস টা হয় না তো ক্যাম্পটা হলে তো ভালো হবে তখন কোয়ালিটি প্র্যাকটিস ও হবে।
সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ তে বুঝা যায় স্পিনার নাইম হাসান নতুন অনেক কিছুই শিখেছেন এবং আরও আগ্রহী সে ছায়াদলের জন্য, রঙ্গনা হেরাথের ওপর ভরসা করতে পারেন তিনি।