আইপিএল এর প্রভাব দ্বিপাক্ষীক সিরিজেও কি!

0
3113

 

করনা ভাইরাসে জনজীবন আজ স্হবির। মানুষ হিসেবে আমাদের আমাদের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিয়েছে। একের পর এক ক্রিকেট সিরিজ পিছিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন পর ইংল্যান্ড ওয়েষ্টইন্ডিজের টেষ্ট সিরিজের মাধ্যমে ক্রিকেট মাঠে ফিরছে। সব ক্রিকেট অনুরাগী স্বস্তির নিশ্বাসে ফেলেছিল প্রিয় খেলা আবার মাঠে ফিরতে দেখে।

একই কারনে আইপিএল পিছিয়ে গিয়েছিল টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে না আইপিএল হবে এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দেরি হলেও। ফলাফলটা সবার জানাই ছিল এবং হলোও তাই। বিশ্বকাপেকে সাইড করে দিয়ে জায়গা করে নিল আইপিএল। এখন অন‍্য দেশের ক্রিকেটেও কি আইপিএল প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভের মতে, সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বা দুটি টেস্টের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে স্বাগতিকতা দেওয়ার জন্য আগ্রহী। তবে তারা কীভাবে সিপিএল এবং আইপিএলের মধ্যে এই এই আয়োজন করবে এটাই এখন প্রশ্ন। সিপিএল ১০ সেপ্টেম্বর ত্রিনিদাদে শেষ হবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আইপিএল শুরু হবে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাদের ক্রিকেট দলকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কারণ দেশের কোভিড -১৯ পরিস্থিতি কারণে সীমান্ত এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে।

সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট পরিচালক গ্রাম স্মিথ জানান যে, দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের কোন সিরিজের প্রস্তুতি নিতে ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের মত সময় প্রয়োজন হবে এবং তারা বর্তমানে কোনও ধরনের প্রশিক্ষণ শিবিরে নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের মূলত ২৩ শে জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত দুটি টেস্ট এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজ খেলতে ক্যারিবিয়ান সফরে যাওয়ার কথা ছিল, তবে মহামারীজনিত কারণে অন্যান্য অনেক সিরিজের মতো এই সফর স্থগিত করতে হয়েছে।

“আমরা খুব আশাবাদী যে দক্ষিণ আফ্রিকা সেপ্টেম্বরে এখানে কেবলমাত্র টি-টোয়েন্টি-ট্যুর অথবা টেস্ট সিরিজের জন্য সফরে আসতে পারে,” স্টারকম রেডিওর মেসন এন্ড গেষ্ট ক্রিকেট শোতে  গ্রাভ জানিয়েছেন, “এটি আইপিএলের উপর নির্ভর করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক টেস্ট খেলোয়াড় রয়েছে যাদের আইপিএল চুক্তি রয়েছে, যদিও এই বর্তমান টেস্ট দলে আমাদের কোনও আইপিএল এ চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নেই।

“আমরা আইপিএল চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারব না, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের কাছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তারা তাদের খেলোয়াড়দের আইপিএলে যেতে ও খেলতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েছে।” জনি গ্রেভ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বর্তমানে ইংল্যান্ডে একটি টেস্ট সিরিজ খেলছে, এবং তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে ১৮ ই আগস্ট – সেপ্টেম্বর ১০ সিপিএল এ অংশ নিতে দেখা যাবে।

“আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি তা হ’ল খেলোয়াড়েরা ইংল্যান্ড থেকে দেশে আসবেন, তাদের উইকএন্ডে তাদের বাড়িতে বসে কাটাবে। ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে যারা রয়েছেন তারা সম্ভবত ৩ আগস্ট ত্রিনিদাদে নামবেন তাই দ্রুতই ঐ আসর শেষ হয়ে যাবে, “সিপিএল দশ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। আমরা আশা করছি যে দক্ষিণ আফ্রিকা এর পরপরই হয়ত আসতে পারে। এখন দেখার বিষয় আমরা পুরো সফর সম্পন্ন করতে পারি নাকি টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা সফরক হয়ত আয়োজিত হতে পারে আমরাসেটা এখনি বলতে পারছি না!”

তাহলে দেখা যাচ্ছে বৈশ্বিক আয়োজন ক্রিকেট বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলো আইপিএল এর জন্য। এখন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ গুলিতেও আইপিএল এর প্রভাব পরতে শুরু হয়েছে। যখন আপনি আপনার দলের সেরা খেলোয়াড়দের বাইরে খেলার ছাড়পত্র দিয়ে দিবেন তখন নিঃসন্দেহে আপনার নিজের ঘরের দল গুছাতে। এবং যে কোন ক্রিকেট বোর্ড চাইবে না তুলনামূলক দূর্বল দল নিয়ে কোন সিরিজ খেলতে।