আপাতত অবসরের চিন্তা নেই লাসিথ মালিঙ্গার

0
1347

এক বছরের বেশি সময় আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলেননি মালিঙ্গা। সর্বশেষ গতবছরের মার্চে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন শ্রীলংঙ্কান এই পেসার। টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন বহুদিন আগে ২০১০ সালে এবং ওয়ানডে থেকে বিদায় নিয়েছেন বছর দুএক আগে ২০১৯ সালে। বাকি আছে টি-টোয়েন্টি তবে তার ভাষ্যমতে এখনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন না তিনি।

আগামী অক্টোবরে মরুর দেশে মাঠে গড়াবে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও আসন্ন এই টুর্নামেন্ট খেলতে চান লাসিথ মালিঙ্গা। অনেকেই ধারণা করছেন আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর একেবারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কে বিদায় জানাবেন শ্রীলংঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।

তবে তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন ইর্য়োকার স্পেশালিষ্ট এই পেসার। তিনি জানিয়েছেন অবসর নিয়ে ভাবার সময় এখন না আরো সময় আছে হাতে তিনি সময়টুকু কাজে লাগাতে চান।জানা গেছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি তিনি চোখ রাখছেন ২০২২শে অস্ট্রেলিয়াতে হতে যাওয়া পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।

তবে ঘড়ির কাটার সাথে সাথে যেমন সময় বাড়ে তেমনি বছর ফুরানোর সাথে সাথে বয়সও বাড়ে‌। শ্রীলংঙ্কান এই পেসারের বয়স ৩৭ বছর তবুও তিনি চিন্তা করছেন না বয়স নিয়ে। শ্রীলংঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ২ কিলোমিটার দৌড়ানোকে মানদণ্ড হিসাবে বেঁধে দিয়েছে। সেটা উতরে যেতে না পারলেও টানা ২ ঘন্টা বোলিং করে যাওয়ার আশা ডানহাতি এই পেসারের।

এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে অবসর প্রসঙ্গে মালিঙ্গা জানানঃ
“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে অবসরের কোনো সময় সীমা তিনি বলেনি। আমি অবসর নিচ্ছি না, আমি এখনও টানা ৪ ওভার বল করতে পারি। ২ কিলোমিটার হয়ত দৌড়াতে পারবো না এ কারনেই ঘরে আছি। তবে কোনোরকম অসুবিধা ছাড়াই টানা ২ ঘন্টা বোলিং করে যেতে পারবো।”

টি-টোয়েন্টি তে এক ম্যাচে ২৪ বল করতে হলেও, মালিঙ্গার দাবি তিনি ২০০ বল করতে পারবেন, পারফরম্যান্সের জন্য ফিটনেস কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

লাসিথ মালিঙ্গা আরও জানান :
“আমি একটানা ২৪ বল ডেলিভারি করতে পারি। এমনকি ২০০টি বল ও করতে পারবো, কিন্তু ২কিলোমিটার দৌড়াচ্ছি না কারণ আমি জানি আমি এটা পারবোনা। ক্যান্ডিতে নিউজিল্যান্ডের ৪বলে ৪উইকেট শিকার করেছিলাম। আমার বয়স তখন ছিলে ৩৫ বছর। কেউ আমার বয়স বা ভুরি নিয়ে তখন কোনো প্রশ্ন তোলেনি।”

তাহলে কি মালিঙ্গাকে পরপর ২টা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখতে যাচ্ছি?