বাংলাদেশের একজন আয়রনম্যান মাহবুবুর রহমান

0
45570

মাহবুবুর রহমান আমাদের দেশের একজন ধৈর্যশীল অ্যাথলেট যার ট্রায়াথলনের প্রতি অসম্ভব রকমের ঝোঁক‌‌। গত কয়েক বছরে তাঁর অ্যাথলেটিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ‍্য দুরত্বের দৌড়, খোলা পানির সাঁতার এবং আয়রনম্যান ট্রায়াথলনে বিস্তার লাভ করেছে।

২০১৮ সালে তিনি প্রথম আয়রণম্যান রেস – ‘আয়রণম্যান ৭০.৩ কলম্বো’ শেষ করার পরে, ‘আয়রণম্যান ৭০.৩ বিন্তান’ (২০১৯), ‘আয়রণম্যান মালয়েশিয়া ‘(২০১৯) এবং ‘আয়রনম্যান ৭০.৩ বাংসাইন’ (২০২০) সম্পন্ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশীদের মধ্যে প্রথম যিনি ‘আয়রনম‍্যান ৭০.৩’ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলায় যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

তার আয়রনম্যান এবং দৌড়ের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে মাহবুব বাংলা চ‍্যানেল পারি দিয়েছে (১৬.১ কিমি উন্মুক্ত বঙ্গোপসাগরে সাঁতার) ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ঢাকা হাফ ম্যারাথনে প্রথম রানার আপ হিসেবে ফিনিশিং পয়েন্ট টাচ করেন, ২০১৭ ঢাকা ট্রায়াথলন সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেন, ব্র্যাক ব্যাংক রানের ২০১৮ ও ২০১৯ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন, ২০১৯ এর বিওয়াইএলসি – রান ফর পারপাস এর চ্যাম্পিয়ন, বিওয়াইএলসি-রানিং ফর পারপাস ২০১৮ এর প্রথম রানারআপ সহ বান্দরবান স্কাই ম্যারাথন ২০১৬ এর একজন সফল ফিনিশার।

পেশায় একজন পূর্ণ সময়ের আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব তার অবসর সময়ে স্থানীয় অ্যাথলিটদের সহায়তায় অবদান রেখে আসছেন। তিনি বিডিরানার্স এবং বিডি ট্রায়াথলেটসের একজন কর্মী – যারা বাংলাদেশের দুটি অন‍্যতম বৃহত্তম অনলাইন কমিউনিটি এরা ধৈর্যশীল দৌড়বিদদের উৎসাহ প্রদান করার জন্য কাজ করে‌।

মাহবুব এখন আয়রনম্যান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ কনা এর কোয়ালিফাই এর জন্য মনোনিবেশ করছেন এবং এই লক্ষ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আয়রনম্যান হচ্ছে সাঁতার, সাইক্লিং এবং রানিং এই তিনটি ইভেন্ট নিয়ে একটি লম্বা রেইস, যেখানে একজন এথলেটকে ৩.৮ কিলোমিটার সাতার দিয়ে রেইস শুরু করতে হয়, তারপর ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং সবশেষে ৪২ কিলোমিটার এর ম্যারাথন শেষ করতে হয়। ১৭ ঘন্টার মধ্যে এই লম্বা সময়ের রেইসটি শেষ করতে হয়। যারা শেষ করতে পারে তাদেরকে আয়রনম্যান বলা হয়। কঠিন মানষিক ও শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের এই খেলাটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম খেলা হিসেবে ধরা হয়(২৪ ঘন্টায় শেষ হয় এমন খেলাগুলোর মধ্যে)।