মানসিক ধাক্কাই হারের মূল কারণ

0
44824

শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামার আগে ভয়ানক এক সত্যের মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশ দলকে। বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের তরুণ খেলোয়াড় আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বাবা মারা গিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতে এই খবর পেয়ে শোকাহত হয়েছিলো পুরো বাংলাদেশ টিম, বিসিবি এবং সংশ্লিষ্ট সবাই।

তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়েছে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বিপ্লবকে তবে এই একটি দুঃসংবাদ কি মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিলো তাদের?

জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেটি বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি হার। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এমন পরাজয় চিন্তার ভাজ ফেলছে বাংলাদেশের কপালে।

ফিল্ডিংটা হয়নি মনের মতো, বোলাররাও রান আটকে রাখতে পারেনি। আর শেষমেশ যাচ্ছে তাই ব্যাটিং।

পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে অধিনায়ক জানিয়েছেন- পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে না পেরেই হার জুটেছে বাংলাদেশের। আমার মনে হয় না আমাদের ওই ধরনের মানসিকতা ছিল। হয়তো মানসিক ভাবে ধাক্কা ছিল, তবুও আমরা এই ম্যাচটিতেও জয়ের ফোকাসে ছিলাম, জয়ের জন্য প্রত্যয়ী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এই কারণে হয়তো আমরা ম্যাচটা হেরেছি।

প্রথম টি-টোয়েন্টি তে দলের ইয়াং স্টাররা ম্যাচ জিতিয়েছে। দ্বিতীয়টিতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও চাপের মুহুর্তে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন।

নিজের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে রিয়াদ বলেন, “ব্যাটিং অপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। আমি যেটা বললাম ১৬০ প্লাস রান চেজ করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হবে। শুরুতে আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম, এই কারণে কিছুটা চাপে ছিলাম। যেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৫০ কিংবা ৩০ রানের জুটি। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি।”

“আমার মনে হয় ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আমাদের নানা জায়গায় নানা জনকে খেলানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের স্পিন বোলিং বিভাগ, পেস বোলিং বিভাগ, অলরাউন্ডার দেখেন-এইসব জায়গাগুলোতে দারুণ সব ক্রিকেটার রয়েছে। আজকে আমরা ভালো খেলতে পারিনি বলেই ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।

রিয়াদ আরো যোগ করেন –

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ডানহাতি, বামহাতি কম্বিনেশনের কারণে তিন নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সাকিব আল হাসানকে সেসময় ব্যাটিংয়ে পাঠানোতে প্রশ্নও উঠেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আরো একবার ব্যাটিং লাইনে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এদিন তিন নাম্বারে নামানো হয়েছিল অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানকে। তিনিও ব্যাট হাতে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।

মাহেদীকে ৩ নাম্বারে নামানোর প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, “মেহেদী যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেট ওপরের দিকে ব্যাটিং করে। তাই ওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত ব্যাটিং গ্রুপে আমরা ক্লিক করতে পারিনি। কোন বড় জুটি আমরা করতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় শুরুটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। যখন ১৬০ প্লাস স্কোর চেজ করতে হবে, আমরা সেই বিষয়টা করতে পারিনি বলেই ফল পক্ষে আসেনি।”