শুভ সূচনা বাংলাদেশের

0
868

অস্ট্রেলিয়া কে হারিয়ে রের্কড গড়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। খেলার মাঠে নেই কোন দর্শক। তবুও সেই অভাব বোঝা যাচ্ছিলো না। মিরপুরের প্রেসবক্সই যেন মনে হচ্ছিলো এক টুকরো গ্রান্ড স্ট্যান্ড। বাংলাদেশের বোলিং শুরুর পর থেকেই প্রতিটা উইকেট আর ডট বল যেন উপভোগ করছিলেন সবাই, লিখছিলেন বড় আশা নিয়ে।

আশা নিরাশ করেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ১৩২ রানের টার্গেটও পাহাড়সম কঠিন করে তুললেন স্পিনাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। যেন পরিণত বাংলাদেশ, জেতার পরও তেমন উদযাপন নেই। যেন খুব স্বাভাবিক অজিদের বিপক্ষে জয়। পুরো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে দুই অঙ্কের রান করেছেন মোটে তিন জন।

গল্পটা শুরু হোক দশ ওভার থেকে। দশম ওভারে নাসুম ফেরান ম্যাথু ওয়েডকে। দশ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাড়ায় ৫১ রানে ৪ উইকেট৷ ১১ তম ওভারেই নিজের শেষ স্পেলে বল করতে আসেন মাহেদী। আগের তিন ওভারে ১৬ রান খরচা করে ১ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি৷

নিজের শেষ ওভারে মাহেদী খরচা করেন ৬ রান। ১১ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫৮। বাকি ৯ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৭৪। পরের ওভারেই আবারও বোলিংয়ে আসলেন সাকিব আল হাসান।
নিজের তৃতীয় ওভারে রান দেন ৯। ১২ ওভারে অজিদের পকেটে তখন ৬৭ রান। প্রথম ওভারে ২ রান দেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান পরের ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। ১৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭১/৪

১৪ তম ওভারে নাসুমকে আনেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বলেই হিট আউট করেন অ্যাস্টন অ্যগারকে৷ তিনি ফিরে যান ১২ বলে ৭ রান করেই। উইকেটে আসেন টার্নার।
সাকিবের শেষ ওভারের শুরুটা ভালো হয়নি। মিশেল মার্শের ছক্কা ওভারটাকে মিতব্যয়ী হতে দেইনি। ওভারে রান দিয়ে দেন ৯ যেটা অস্ট্রেলিয়ার রানকে নিয়ে পৌছায় ৮২ রানে।
শেষ ৫ ওভারে ১০ রান রেটে ৫০ রান প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়ার। নাসুম আসেন নিজের শেষ ওভার করতে। মিশেল মার্শের উইকেটটা তুলে নেন তিনি। ব্যাটিংয়ে আসেন স্টার্ক।
১৬ ওভারে ৮৬ রানে আটকে থাকে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে বাকি ৪ ওভারে প্রয়োজন ৪৬ রান। শরিফুলের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি চিন্তা বাড়ালো। তবে চিন্তা বাড়াতে দেননি তিনি৷ আর কোন বাউন্ডারি হজম করতে হয়নি ঐ ওভারে।
১৭ ওভারে ৯৫ রান অস্ট্রেলিয়ার। শেষ তিন ওভারে রান দরকার ৩৭। মুস্তাফিজুর এলেন, ঠিক যা করবার তাই করলেন। টার্নারের উইকেট তুলে নিলেন। অস্ট্রেলিয়ার রান দরকার তখন ১২ দশমিক ৮০ রেটে।
১৯ তম ওভারের শুরুতেই বিদায় নিলেন টাই। শরিফুলের ওভারের পর শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান দরকার ২৮। অলআউট অস্ট্রেলিয়া গিয়ে থামলো ১০৮ রানে৷টানটান উত্তেজনায় ভরপুর শ্বাস রুদ্ধ কর ম্যাচ শেষে ডাগ আউট মেতে উঠে উল্লাসে অজিরা হ্যান্ড শ্যাক করেননি তবে হাত তালি দিয়ে জয় কে সম্মান দিতে ভুলেননি।
ফলাফলঃ ২৩ রানে জিতলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম নেন ৪ উইকেট, ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব, ও মাহেদী। ২ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর।
স্কোরকার্ডঃ
বাংলাদেশ- ১৩১/৭
নাইম – ৩০(২৯), সাকিব – ৩৬(৩৩), মাহমুদউল্লাহ – ২০(২০), আফিফ – ২৩(১৭), স্টার্ক – ( ৪-০-৩৩-২), হ্যাজলউড – ( ৪-০-২৪-৩)
অস্ট্রেলিয়া – মার্শ – ৪৫(৪৫), ম্যাথু ওয়েড – ১৩, স্টার্ক – ১৩
নাসুম – ( ৪-০-১৯-৪), সাকিব – ( ৪-০-২৪-১)