শুরুতে সৌম্য শেষে শামীমের ব্যটে সিরিজ বাংলাদেশের

0
1564

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ৫ বল হাতে রেখে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল সফরকারী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী।

আলাদা করে অনেক বড় অংশের ধন্যবাদ দিতেই হবে অলরাউন্ডার সৌম্য এবং অলরাউন্ডার শামীম হোসেনকে। শুরুতে ম্যাচ জেতানোর বড় ৬৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন লড়াই করার মত সংগ্রহ তারপর ৩১ রানের ঝড় ইনিংস খেলে দলকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম হোসেন।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারায় মাদেভেরের ফিফটি, চাকাভার ৪৮ রানে নির্ভর করে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৯৩ রান। এছাড়াও জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৭ করেন মারুমানি, চাকাবভা ৪৮, ডিয়ম মেয়ার্স ২৩ এবং রায়ান বার্ল করেন ১৫ বলে ৩১ করেন।

সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে বল করে দিয়েছেন ৫০ রান এবং তুলে নিয়েছেন এক উইকেট । ৩ ওভারে ৩৭ দিয়েছেন নাসুম।তবে দুরন্ত ছিলেন সাকিব এবং শরিফুল। দুজনে মিলে ২৪ এবং ২৭ রান খরচ করে নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সৌম্য নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট।

কেনো বলছি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট?
হ্যা সবগুলো প্লেয়ারের উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কিন্তু সময় মতো ব্রেক থ্রু পাচ্ছিলো না কোনো বলার তাই রানের চাকা দূর্ত ছুটছিলো জিম্বাবুয়ের ঠিক সেই মূহুর্তে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন সৌম্য এক ই ওভারে তুলে নেন দুটি উইকেট। রানের চাকা থামে জিম্বাবুয়ের।

রানের চাকা থামলেও মাধেভেরের ইনিংসের জন্য সচল থাকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন আপ এবং ১৯৩ রানের মাইল ফলক গড়ে তাড়া।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ২০ এবং ব্যাক্তিগত ৭ রানে আউট হন নাঈম হাসান। ৩য় উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করে সাকিব-সৌম্য জুটি। ১৩ বলে ২৫ করেন সাকিব, এক ওভারে ৩ বলেই ১৩ রান তুলে ফেলেছিলেন পরপর দুটি ছক্কা হাকানোর পর ৪র্থ বলে আবারো ছক্কা হাঁকাতে চান বিশ্বসেরা হয়তো বা দুই ছক্কায় তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না তারপর ক্যাচ আউট হয়ে প্যভিলিয়নে ফেরত যান। সৌম্য করেন ৪৯ বলে ৬৮। ২৮ বলে ৩৪ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

শেষের দিকে আফিফের ৫ বলে ১৪ আর শামীমের ঝড়ের গতিতে ১৫ বলে ৩১ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।