বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে হারাতে প্লেয়িং ইলেবেন সাজিয়েছেন ৮ জন ব্যাটসম্যান নিয়ে। তাই রীতিমতো বোলারের সংখ্যা ছিল কম স্পিনার রেখেছিলেন ২জন একজন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আরেকজন মেহেদী হাসান মিরাজ। পেসার ছিলো ২জন তাসকিন আহমেদ এবং ইবাদত হোসেন, কোচের লক্ষ্য ছিল স্পিন ঘূর্ণি দিয়ে বাজিমাত করা ঠিক লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করেছেন শিষ্যরা।
সাকিব-মিরাজের স্পিন এই জুটি বল দিয়ে মারার আগেই চোখ দিয়ে মেরে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের একের পর এক উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে।
বাংলাদেশের গড়া প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানের জবাব ভালো ভাবেই দিচ্ছিলো জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেনডন ট্রেইলর, তাকুজাদওয়ানাশে কাইতানো এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ২২৫ রান তুলে ফেলে তখন তাদের হাতে বাকি আরও ৮টি উইকেট দুজন প্লেয়ারই একদম সেট হয়ে যায় উইকেটে। মনে হচ্ছিলো যেনো লাগাম ছাড়া ঘোড়া তাদের আটকানো যাবেনা কিন্তু সাকিব বলে কথা সে কি আর থেমে থাকে!
তিনি করে বসেন জোড়া আঘাত পর পর সাজঘরে ফেরান দুই ব্যাটসম্যানকে। ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশ বোলাররা এবং ছন্দে ফিরে দল। ৬৫ বলে ২৭ রান করা ডিওন মেয়ার্সকে ফিরিয়ে বড় বাধা উপড়ে ফেলেন সাকিব। ১৭ বলে ০ রান করা টিমোসেন মারুমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
অভিষিক্ত রয় কাইয়কা রানের খাতা খুলতেই দেননি পেসার তাসকিন আহমেদ। ২২৫/২ থেকে ২২৯/৫ উইকেটের দলে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে দল এই পরিসংখ্যান দেখেই বুঝা যায় ক্রিকেটকে কেনো অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়।
সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ব্রেন্ডন টেইলর কে ৮১ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান মিরাজ মূলত এখানেই শুরু হয় ছন্দ পতন। স্বস্তি ফিরে বাংলাদেশ শিবিরে। তারপর ২৬১/৫ থেকে ২৬৯/৯ এই আট রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে, মেহেদী হাসান মিরাজ নিজের স্পিন ঘূর্ণি দিয়ে ৮২ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন। কাকতালীয় ভাবে সাকিব ও ৮২ রান দেন তবে তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট । প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিলো ১৯২ রানে।এবং জিম্বাবুয়ে অল আউট হয়ে যায় ২৭৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ – ৪৬৮/১০ ; ১২৬ ওভার ( মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫০*, লিটন দাস ৯৫, তাসকিন আহমেদ ৭৫, মুমিনুল হক ৭০,ব্লেসিং মুজরাবানি ৪/৯৪, ডোনাল্ড টিরিপানো ২/৫৮,ভিক্টর নিয়াচি ২/৯২)।
জিম্বাবুয়ে – ২৭৬/১০ ; ১১.৫ ওভার ( কাইতানো ৮৭, ব্রেন্ডন টেইলর ৮১,শুম্ভা ৪১,চাকাভা ৩১*,ডিওন মেয়ার্স ২৭,মেহেদী হাসান মিরাজ ৫/৮২,সাকিব আল হাসান ৪/৮২)।