৪৮০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ডেকে।

0
1991

ডেকান চার্জর্সের কথা মনে আছে! ২০০৮ আইপিএল যাত্রা শুরু করে ৮ টি দল নিয়ে তাদের মধ্যে একটি দল ছিল ডেকান চার্জার্স। ভিভিএস লক্ষ্মণ, শাহিদ আফ্রিদি, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো ক্রিকেটাররা ডেকান চার্জার্স দলে খেলেছেন। ২০০৯ সালে রয়েল চ্যালেঞ্জকে হারিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ডেকান চার্জার্স। কিন্তু ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে ডেকান চার্জার্সকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গোটা বিষয়টি সূত্রপাত হয়েছিল ডিসিএইচএল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বিসিসিআইকে দিতে ব্যর্থ হওয়ায়। তার প্রেক্ষিতেই আইপিএল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ডেকান চার্জার্সকে। এরপরেই ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা বোম্বে হাইকোর্টে বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই আইপিএলে হায়দরাবাদ থেকে নতুন দল নেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বোর্ড। নতুন দল নামায় সান টিভি নেটওয়ার্ক সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নামে। এরপর হাইকোর্ট দু’‌পক্ষের এই সমস্যা মেটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিকে ঠাক্কারকে আর্বিট্রেটর নিযুক্ত করে। দীর্ঘ আট বছর পর শুক্রবার এই মামলায় জয়ী হল ডিসিএইচএল।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪৮০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার। অবশ্য এটা অনুমেয় যে এই রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যাই হাইকোর্টে যাবে বিসিসিআই। বোর্ডের অন্তবর্তী সিইও হেমাঙ্গ আমিন বলেছেন, ‘‌রায়ের কপি এখনও হাতে পাইনি। হাতে পাওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’‌

করনা মহারির থাবায় ক্রিকেট বিশ্ব স্থবির এই অবস্থায় আইপিএল নিয়ে চলছে জোর অনিশ্চয়তা। বিসিসিআই চলতি বছরেই আইপিএল আয়োজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । দেশের করনা পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে দুবাইয়ে আয়োজনের ব্যাপরে কাজ করছে। এই জোর আয়োজনের চেষ্টা করার হিসাব খুব সহজ আইপিএল আয়োজিত না হলে দারুন ভাবে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু অবস্থার মধ্যে এই দারুন ধাক্কাটি খেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ‘কোর্ট নিযুক্ত আর্বিট্রেটর রায় দিয়েছে ডেকান ক্রনিকাল হোল্ডিংসের পক্ষে। ২০০৮ সালে ডিসিএইচএল ১০৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ১০ বছরের জন্য হায়দরাবাদ ফ্রাঞ্চাইজি কিনেছিল।

২০১৭ সালেও বরখাস্ত হওয়া আরেক দল কোচি টাস্কার্স কেরালা বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলায় জিতেছিল। তখন বিসিসিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৮৫০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই রায়ের বিরুদ্ধেও আদালতে যায় বোর্ড। যার রায় নিষ্পত্তি হয়নি এখনো।