চোখের সমস্যা কাটিয়ে আলো দেখাচ্ছেন সাকিব

0
180

মিরপুরের দিনের ম্যাচগুলোতে সবসময় ছিলো ভিন্ন চিত্র। কখনো শুরু থেকেই বল আসতো থেমে থেমে কখনো বা নিচু হয়ে। ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাগল করতে হতো অনেক বেশি। অথচ আজকের ম্যাচে কি সাবলীলই না খেললেন রংপুর রাইডার্সের ব্যাটাররা।

শুরুতে রেজা হেনড্রিকসের সাথে রনি তালুকদার পার্টনারশিপটা হয় ৬১ রানের। চোখের সমস্যায় ভুগা সাকিব ব্যাটিংয়ে আসেন তিনে। এসেই আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাট করতে থাকেন। দেখে মনেই হয়নি তিনি তার স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। নিজের প্রিয় কাট শটটাও খেলেছেন আজ। টানা দুইটা ভালো ইনিংস খেলে ফেরার বার্তায় দিয়ে রাখলেন সাকিব। আগের ম্যাচে ২০ বলে ৩৪ করার পর আজ করেছেন ১৬ বলে ২৭। পুরোসময় জুড়ে আক্রমণাত্মক থাকা সাকিব জীবন সংগ্রামে টিকে থাকা, ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকা সালাউদ্দিন শাকিলের বলে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। একই ওভারে ৪১ বলে ৫৮ রান করে ফিরে যান রেজা হেনড্রিকসও।

তবে এরপর সোহান আর নিশাম রীতিমতো তান্ডবই চালিয়েছেন চিটাগাং চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের পর। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া সালাউদ্দিন শাকিলকে কেন যেন আর বোলিংয়েই আনেননি ক্যাপ্টেন শুভাগত হোম।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে থাকে চট্টগ্রাম। বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারেই জশ ব্রাউনকে বোল্ড করেন সাকিব। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ইমরান তাহিরও উইকেট পান বোলিংয়ে এসেই। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেই রানরেটের চাপ থেকে কখনো বেরই হতে পারেনি বন্দর নগরের এই দলটি।

পুরো ম্যাচজুড়ে চাপে থাকা চট্টগ্রামের হয়ে ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন সৈকত আলী। শেষের দিকে ১৩ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন শুভাগত হোম। কিন্তু তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২১১ তাড়া করতে নেমে তারা হেরেছে ৫৩ রানে। সাকিব আর নিশাম নেন দুটি করে উইকেট। সন্ধ্যায় অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থাকা ফরচুন বরিশাল বনাম শেষে অবস্থান করা দূর্দান্ত ঢাকা।