দ্যা বাবর আজম শো

0
1838

ক্রিকেট কে ব্যাখ্যা করার সময় সবসময় বলা হয় ক্রিকেট ইজ এ জেন্টলম্যান গেম‌। এর পাশাপাশি ক্রিকেট আবার চরম অনিশ্চয়তার খেলা, আর এই অনশ্চিয়তার উপমা নিয়ে ঘুরেন পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ক্রিকেট বিশ্বের মোষ্ট আনপ্রিডিক্টেবল দল বললে গুগল ও যেন জবাব একটাই দিবে পাকিস্তান।

কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট দলের রত্ন দুর্দিনের সহায়ক দ্যা ফাইটার ম্যান ওয়ান ম্যান আর্মি যার ওপর চোখ বন্ধ করে দল ভরসা করতে পারবে তিনি হলেন বাবর আজম। ক্রিকেট বিশ্ব মুগ্ধ তার একের পর এক চোখ ধাধানো পারফরম্যান্স দেখে।

তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে তে চিত্র ছিলো ভিন্ন, উজ্জ্বল ছিলো না ওয়ানডে র‍্যাংকিং এর এক নাম্বার ব্যাটার বাবর আজমের ব্যাট। পাশাপাশি দলীয় ব্যর্থতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল পাকিস্তান অধিনায়কের। তবে সিরিজের ৩য় এবং শেষ ওয়ানডে মঙ্গলবার (আজ) দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে প্রত্যাবর্তন করেছে বাবর, দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই এর জন্য বড় সংগ্রহ।

এজবাস্টনে আজ নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের
১৪তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাবর আজম। আর এই কীর্তি গড়ার পথে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ওপেনার হাশিম আমলা পিছনে ফেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। একদিনের ক্রিকেটে আজ ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম ১৪ সেঞ্চুরি করার নতুন রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৪টি সেঞ্চুরি তুলে নিতে বাবর আজম খেলেছেন মাত্র ৮১ টি ইনিংস, যেখানে সাবেক প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলার লেগেছিল ৮৪ ইনিংস।

মাত্র ২য় পাকিস্তান অধিনায়ক হিসেবে আজ ইংল্যান্ডের মাটিতে সেঞ্চুরির এই কীর্তি গড়েলেন বাবর। ১৯৮৩ সালে প্রথম পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবে এই কীর্তি গড়ছিলেন ইমরান খান।

শুধু পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েননি এর পাশাপাশি ওয়ানডে ফরম্যাটে আজ পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (৩টি) রেকর্ডও ছুঁয়েছেন তিনি। তবে আজহার আলীর ৩টি সেঞ্চুরি করতে যেখানে লেগেছিল ৩১ ইনিংস, সেখানে বাবরের লাগলো মাত্র ৯ ইনিংস।

আজ ধীর গতিতে ইনিংস শুরু করা বাবর সময়ের সাথে সাথে রানের গতি বাড়িয়েছেন। শুধুই মনে পড়ছিল কচ্ছপ খরগোশের কথা। ধীরে ধীরে সফল হওয়ার সেই কাহিনি, সেই মন্ত্র পড়েই যেন সফল পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। যেখানে ফিফটি করতে তিনি ৭২ বল সময় নিয়েছেন সেখানে পরবর্তী ৫০ রান তুলতে মাত্র ৩২ বল খেলেছেন। কী অসাধারণ ছিল বাবর আজমের এই সেঞ্চুরি কোথায় থামবে তার এই দৌড় তার হাত ধরেই আবারও বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান।