দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক

0
463

দেশের ফুটবল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল দেশের ক্রিড়াঅঙ্গন। অর্থাভাবে নারী ফুটবলারদের মিয়ানমারে অলেম্পিক বাছাইয়ে না যেত পারার ঘটনা থেকে এর সূত্রপাত। গত ৩ এপ্রিল নারীদের মিয়ানমারে অলেম্পিক বাছাই পর্বে না পাঠানোর কারন ব্যাখ্যা করে বাফুফে সভাপতি। এর পরে এই ঘটনা নিয়ে বেশ জল ঘোলা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি ও বাফুফে সভাপতির মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। শেষ মেষ নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে যাবার জন্য যে বাজেট দেখানো হয়েছে তাতে মিলেছে বড় ধরনের গড়মিল। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে নারী দলের যাবার জন্য প্রয়োজন ৭০ লাখ টাকা কিন্তু সংসদে যে বাজেট দেখানো হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে তাতে দেওয়া হয়েছে ৯২ লাখ টাকা। বাজেটের কপি এসেছে দেশের সংবাদ মাধ্যমের হাতে তাতেই বেশ বড় ধরনের গড়মিল হিসাব দেখা মিলেছে।

গত ১৯-২০ মৌসুমে ফুটবল ফেডারেশনের জন্য সরকার বরাদ্দ দেয় ২০ কোটি টাকা কিন্তু সঠিক হিসাব দেখাতে না পারা কারনে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবার পর আর টাকা দেয়নি। এ ছাড়া ফিফা থেকে ২০১৬-২২ সালের ফিফার বিভিন্ন  প্রকল্পে মোট ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সঠিক হিসাব দিতে না পারায় বাফুফে আদায় করতে পেরেছে ৭৪ কোটি টাকা। বাফুফের এসব বিভিন্ন অনিয়ম  ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।

এত সব কিছুর মধ্যে আজ আসল আরো একটি দুঃসংবাদ, ফিফা  বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি তাকে ১২ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা করেছে যা টাকার হিসেবে ১২ লক্ষ টাকার মত।

­

ফিফার বরাদ্দ কৃত অর্থের হিসাবে মিথ্যা ডকুমেন্ট ব্যবহারের কারণে এই আরপ করা হয় তার উপর। এর কিছুদিন আগে তাকে ফিফার হেড কোয়ার্টার জুরিখে ডেকে নেওয়া হয়‌ তদন্ত শেষে ফিফা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়।

ফিফার ক্রয়নীতি অনুযায়ী, কোন কিছু কিনতে আগে কমপক্ষে তিনটি দরপত্র আহ্বান করতে হবে। সকল দরপত্র থেকে সবচেয়ে কম দরদাতাকে দেওয়া হবে কাজের দায়িত্ব। বাফুফেও সেই নীতি অবলম্বন করলেও ক্রয় রশিদসহ অন্য দুই কোটেশনে গরমিল পেয়েছে ফিফার অডিট টিম, যার ফলশ্রুতিতে এই নিষেধাজ্ঞা। ফুটবলের এই ক্রান্তিকালে এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা দুঃসংবাদ।