লিটনের ক্লাসিক সেঞ্চুরি

0
1928

জাতীয় দলে আসার পর থেকেই লিটন কুমার দাস ক্লাসিক লিটন হিসেবে পরিচিত, কিন্তু ক্রিকেট ভক্তদের কাছ থেকে শোনা যায় জিম্বাবুয়ে স্পেশালিষ্ট লিটন। যেই কথা সেই কাজ ভক্তদের কথাই যেন আবার প্রমান মিললো।

জিম্বাবুয়ে সিরিজেই আবার নিজের ক্লাস ফিরে পেলেন ক্লাসিক এই প্লেয়ার। জিম্বাবুয়ের বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে দিয়ে তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি। তিন সংখ্যার এই ম্যাজিক ফিগারে পৌছাতে মাত্র ৭২ বল খেলেছেন বাংলাদেশী এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশের তিম ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে আজ (শুক্রবার) লিটন দাস ক্লাসিক স্টাইলের পরিশ্রমী সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের চ্যালেন্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন দ্যা ক্রাইসিস ম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সদ্য জাতীয় দলে ফিনিসার হিসেবে জায়গা পাওয়া আফিফ হোসেন।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম দুই ওভার ই মেইডেন পায় জিম্বাবুয়ের দুই বোলার। শুধু যে মেইডেন পায় তা নয় ৩য় ওভারে সাজঘরে ফেরত পাঠায় ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল কে। ধীরগতিতে শুরু করলেও রক্ষা মিলে না টাইগারদের। দলের রানে খাতা খোলার আগেই তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।

ব্লেসিং মুজরাবানির বলে রেজিস চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ভুল করে বসেন ডেসিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ওয়ান ডাউনে সাকিব নামার পর রীতিমতো সংগ্রাম করেন রানের জন্য শুরু টা করেন সুন্দর করেই কিন্তু শেষটা হলো না আক্ষেপ রয়েই গেলো হয়তো বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। ২৫ বল খেলে ৩টি চার হাঁকিয়ে ১৯ রান তুলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান সাকিব। ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

লিটন দাস খেলছিলেন ধৈর্য্য সহকারে কিন্তু তামিম সাকিব মিথুন ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে‌। দল যখন ২ উইকেট হারায় ৩২ রানে তখন সাবলীল করার দায়িত্ব ছিলো মিথুন ও লিটনের কাঁধে কিন্তু মাত্র ১৯ রান করে ফেরত যান মিথুন, ৫৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

তারপর মোসাদ্দেক আসলো আর গেলো ৫ রানেই যখন মোসাদ্দেক ফেরত যাচ্ছিলেন তখন রীতিমতো বিপদে পড়লো বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতি হারে হারে টের পাচ্ছিল টাইগাররা। তবে দ্যা সাইলেন্ট কিলার মাঠে নামার পর স্বস্তি পায় টাইগাররা লিটনের সাথে সঙ্গ দিয়ে আস্তে ধীরে দলের স্কোর বড় করতে থাকেন রিয়াদ, তিনি ক্রিজে থাকা অবস্থায় ফিফটি তুলে নেয় লিটন। ৭৮ বলে ৩ চারে ফিফটি পূরণ করেন লিটন, পরিস্থিতির দাবি মেটানোর ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

৩৩ রান করে উইকেট রক্ষকের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে ইনিংস থামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, ভেঙে যায় বিপদ কাটিয়ে উঠা ৯৩ রানের জুটি। রিয়াদের বিদায়ের পরপরই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস।

আফিফ হোসেন কে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে আরও ৪০ রান যোগ করেন লিটন, এনগ্রাভার বলে আউট হয়ে ১১৪ বলে ১০২ রানে থামে লিটনের ইনিংস।

শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা মন্দ হয়নি বাংলাদেশের কথায় আছে না শেষ ভালো যার সব ভালো তার। তবে আজ দিনটা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্লাসিক ওপেনার লিটনের।