সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ, প্রথমে ব্যাট করা আফগানদের ১০১ রানে গুটিয়ে দিতে পারলেও কষ্ট করেই জিততে হয়েছে টাইগার যুবাদের।
আফগানিস্তানের দেওয়া ১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে শুরুটা ভালোই এনে দেন নওরোজ প্রান্তিক নাবিল ও মফিজুল ইসলাম, উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৭ রান। নাবিল ২৪ রান করে ফিরলেও আরিফুল ইসলামকে নিয়ে আরও ২০ রান যোগ করেন মফিজুল।
২ উইকেটে ৭০ রান তুলে সহজ জয়ের পথেই ছিল টাইগার যুবারা, কিন্তু ১০ রান করা আরিফুলের বিদায়ে বিপত্তির শুরু বাংলাদেশের। ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে হঠাৎই হারের শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল, ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে জয়ের দিকে নেন আইচ মোল্লাহ ও গোলাম কিবরিয়া।
৯৫ রানে গোলাম কিবরিয়া ফিরে গেলেও রিপন মন্ডলকে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন আইচ মোল্লাহ, ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রিপন মন্ডলের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৬ রানের ইনিংস, যুবা টাইগাররা ২৬.৫ ওভার হাতে রেখেই ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে ইজহারুল্লাহক নাভিদ ৪ ও শাহিদুল্লাহ হাসানি ৩ উইকেট নেন।
এর আগে টস জয়ী আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের শুরুটাও মন্দ ছিল না, সুলেমান সাফি ৩ রান করে ফিরলেও উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২১ রান। ইসাক জাজাইকে নিয়ে আরও ২০ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার সাবাওন বানোরি, ৩ রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরেন।
চতুর্থ উইকেটে ২০ রান যোগ করেন ইজাজ আহমাদ ও আল্লাহ নুর, নাঈমুর রহমানের জোড়া আঘাতে ৬৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দল।
কামরান হোতাক একপাশ আগলে রেখে ব্যাট করলেও নাঈমুর রহমানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০১ রানেই শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস, নাঈমুর ১০ ওভার বোলিং করে ৪ মেইডনসহ মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
এই জয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল, ১৪ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে। বাকি দুই ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১৭ ও ১৯ সেপ্টেম্বর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দল ১০১/১০ (৪২.৩ ওভার; সাবাওন বানোরি ২৫, ইসাক জাজাই ১২, আল্লাহ নুর ১২, কামরান হোতাক ১৬*, ইজাজ আহমেদ ১০, নাঈমুর রহমান ৪/১৪, গোলাম কিবরিয়া ২/২০)।
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল ১০২/৭ (২৩.১ ওভার; মফিজুল ইসলাম ৩১, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ২৪, আরিফুল ইসলাম ১০, আইচ মোল্লাহ ১৬*, ইজহারুল্লাহক নাভিদ ৪/২৯ শাহিদুল্লাহ হাসানি ৩/৩০)।