মঙ্গলবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে পাঞ্জাবের কিংসের দরকার ছিল মাত্র ৮ রান। ক্রিজে দুই সেট ব্যাটার পুরান-মার্করাম সহ হাতে ছিল ৮ উইকেট। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে দুটি ‘ডট বল’ আর বাকি চার বলে চারটি সিঙ্গেলে মাত্র ৪ রান দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর শেষ ওভারে তরুণ কার্তিক তিয়্যাগির অনবদ্য বোলিং নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২ রানের অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে রাজস্থান।
নিজের শেষ ওভারে ২টি ‘ডট বল’ সহ, মঙ্গলবার পাঞ্জাবের বিপক্ষে মোট ৭টি ডট বল করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই আসরে এখন পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচে সর্বমোট ৭০টি ‘ডট বল’ করেছেন টাইগার পেসার। রাজস্থান রয়্যালসের আর কোনো বোলারই এর চেয়ে বেশি ‘ডট বল’ করতে পারেনি।
চলমান আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডট বল:
৭০ – মুস্তাফিজুর রহমান
৬৮ – ক্রিস মরিস
৫৫ – চেতন সাকারিয়া
৪০ – জয়দেব উনাদকাট
২৮ – রাহুল তেওয়াতিয
শুধু রাজস্থান রয়্যালসই নয়, আইপিএলের ১৪তম আসরে বিদেশি বোলারদের মধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডট বল করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৮৬টি ডট বল করে এ তালিকায় কেবল ‘কাটার মাস্টার’ এর উপরে রয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।
চলমান আইপিএলে বিদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক ডট বল:
৮৬ – ট্রেন্ট বোল্ট
৭০ – মুস্তাফিজুর রহমান
৬৮ – ক্রিস মরিস
৬৭ – স্যাম কুরান
৬৭ – কাইল জেমিসন
৬৬ – রশিদ খান
সবমিলিয়ে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মঙ্গলবার ৪ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, ছিলেন উইকেট শূন্য। তবে ভারত অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের ন্যায় এদিনও ‘কাটার মাস্টার’ এর বলে দুইটি ক্যাচ ছেড়েছে রাজস্থান রয়্যালসের ফিল্ডাররা।
নিজের খরুচে বোলিংয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড ক্রিস মরিসেরঃ
দুবাইয়ে মঙ্গলবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ৪৭ রান হজম করে উইকেট শূন্য ছিলেন আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার ক্রিস মরিস। যার তার আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খরুচে বোলিং বিশ্লেষণ।
আইপিএলে ক্রিস মরিসের সবচেয়ে খরুচে বোলিং বিশ্লেষণঃ
০/৪৭ বনাম পাঞ্জাব (২০২১) **
১/৪৭ বনাম চেন্নাউ (২০১৯)
০/৪৩ বনাম ব্যাঙ্গালোর (২০১৮)
১/৪২ বনাম ব্যাঙ্গালোর (২০১৫)