বহু নাটকের পর স্থগিত হলো আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজ

0
907

প্রথমবারের মতো কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাঠে নামার কথা ছিল আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের। শঙ্কা আর সম্ভাবনাকে সঙ্গী করে সিরিজটিকে ঘিরে চলা কয়েকদিনের নাটকীয়তার পর ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যসহ বেশকিছু কারণ দেখিয়ে অবশেষে সেটি স্থগিত করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি নিয়ে শুরু হয় অনিশ্চয়তা, অবশ্য তার আগেই নাটকীয়তার শুরু হয়ে গেছিলো। সিরিজটি প্রথমে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আইপিএলের কারণে শ্রীলঙ্কায় সরিয়ে নেওয়া হয়, এরপর তালেবান ইস্যুতে দেখা দেয় শঙ্কা।

অনিশ্চয়তা সঙ্গী করেই পাকিস্তান সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছিলো আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি), কাবুলে অনুশীলনেও নেমেছিলো হাশমতুল্লাহ শাহিদীরা। এরপর আফগানিস্তানে অস্থিরতার কারণে বাণিজ্যিক সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশটির ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কায় যাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দল ঘোষণা স্থগিত করে অনুশীলন বাতিল করলে সিরিজটি ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়।

তালেবানদের সাথে আফগানিস্তানের ক্রিকেট কর্তাদের বৈঠকের পর আবারও আশার আলো খুঁজে পেয়েছিলো সিরিজটি, বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় স্থলপথে লঙ্কা যাত্রার পরিকল্পনা করে এসিবি। এবার করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে পাকিস্তানে নেওয়ার কথা জানানো হয়।

ভেন্যু পরিবর্তনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্থগিতই করা হয়েছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ঐতিহাসিক সিরিজটি। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে, ২০২২ সালে সিরিজটি আবারও আয়োজনের চেষ্টা করবে এসিবি। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল দুই দেশের প্রথম কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যু, কাবুল বিমানবন্দরে জটিলতা, সম্প্রচার সুবিধা না পাওয়া এবং শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ বৃদ্ধির কারণে সিরিজটি স্থগিতের জন্য এসিবির অনুরোধ গ্রহণ করেছে পিসিবি।”